রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় দোকান থেকে প্যান্ট চুরির দায়ে জরিমানা দিয়ে ও ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন জেলা ছাত্রলীগের এই নেতা। প্যান্ট চুরির বিষয়ে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। ফলে নেশার ঘোরে প্যান্টটা দোকান থেকে নিয়ে যান।
প্যান্ট চুরির সেই ভিডিও এরিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।প্যান্ট চুরির ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাতে রাজশাহীর তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারে।
শনিবার রাতে স্থানীয় গোল্লপাড়া বাজারে প্রসেনজিৎ কুমার সরকারের স্টাইল কালেকশান নামের গার্মেন্টসের দোকানে যান ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা। কয়েকটি জিনসের প্যান্ট দোকানের সামনে বড় হ্যাঙ্গারে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল।
পরে ভিডিও দেখে ব্যবসায়ীরা তাকে ধরে এনে বণিক সমিতির অফিসে সালিশ বৈঠক করেন। সালিশে জুয়েল প্যান্ট চুরির অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে জীবনে আর এমন কাজ করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। অবশ্য জুয়েল রানা প্যান্টের মুল দামের সঙ্গে আরও ২০ টাকা টোকেন জরিমানা দিয়ে মোট ৩২০ টাকা দোকানিকে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোমবার।
প্যান্ট চুরির ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। ফলে নেশার ঘোরে প্যান্টটা দোকান থেকে নিয়ে যান। তবে দাম দিয়ে এসেছেন। ঘটনা মিটে গেছে। এটা ভুলক্রমে ঘটেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
তবে সিসিটিভি ফুটেজে তাকে অসুস্থ নয়, বরং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যেতে দেখা গেছে তাকে, এমন প্রশ্নে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
স্টাইল কালেকশানের মালিক প্রসেসজিৎ কুমার দাস জানান, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন না। তার ছোট ভাই দ্বীপক কুমার দাস দোকানে ছিলেন। দোকানের ভেতরে কাউকে দেখতে না পেয়ে জুয়েল রানা একটি জিনসের প্যান্ট টেনে নিয়ে চলে যান।
পরের দিন রোববার (১১ মার্চ) দোকান মালিক এসে দেখেন তার একটি প্যান্ট চুরি গেছে। সে সামনের ভিআইপি গার্মেন্টসের মালিক রাশেদ মোল্লাকে তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে বলেন। এই সিসিটিভিতে ছাত্রলীগ নেতার প্যান্ট চুরির ঘটনা ধরা পড়ে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানার বাড়ি রাজশাহীর তানোরের চাপড়া গ্রামে।
news24bd.tv/আলী