পুলিশকে কী বোকাই না বানালাম

পুলিশকে কী বোকাই না বানালাম

Other

আমি যদি ভুল করে না থাকি, ক্লিপটা সময় টিভির। তাতে দেখা যাচ্ছে রিপোর্টার কোনো একজনের সাক্ষাৎকার নিচেছ। তার মুখে মাস্ক নেই। পাশের একজন নিজের মাস্ক খুলে সাক্ষাৎকারদাতার মুখে পরিয়ে দিলেন।

এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।   সেই সাক্ষৎকারটিও ভাইরাল হয়েছে । একজন বলছেন, আমার নানার গোষ্ঠিতে কেউ মরে নাই, দাদার গোষ্ঠিতে কেউ মরে নাই, পাশের গ্রামে কেউ মরে নাই, আমি কী মাস্ক পইরা মরুম নাকি ? 

এই দুটি উদাহরণ অসচেতনতার ক্লাসিক উদাহরণ । তবে এই দুটি ঘটনাকে উদাহরণ হিসাবে নেওয়ার কিছু নেই।

এরা ব্যাতিক্রম। এদের দুজনকে দিয়ে পুরো জাতিকে বিবেচনা করার কিছু নেই।  

তারপরো আমাদের দেশে মাস্ক নিয়ে সচেতনতার অনেক অভাব আছে এটা মানতেই হবে। অনেকে মাস্ক পরেন না, যারা পরেন তাদের অনেকে ঠিক মতো পরেন না, যারা পরেন তাদের অনেকে থুতনিতে পরেন। অনেকে দুমড়ে মুচড়ে পকেটে রেখে দেন, পুলিশ এলে পরেন, সরে গেলে আবার সুরুৎ করে পকেটে ঢুকিয়ে দেন। মনে মনে ভাবেন, আহ ! পুলিশকে কী বোকাই না বানালাম।  

সচেতন হতে হবে, এই কথাটি আমরা সবাই মিলে ভাইরাল করতে পেরেছি মানে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। তবে সচেতনতা বলতে কি বোঝাই, তা আমরা ভাইরাল করতে পারিনি। এখন সময় হয়েছে সহজ ভাষায় বলার, সবাই মাস্ক পরুন। অন্যের কাছ থেকে তিন ফুট দূরে থাকুন। মাস্ক খুলে হাঁচি-কাশি দেবেন না। ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধুবেন। বাইরে থুথু ফেলেবেন না। থুথু ফেলবেন ঘরে বেসিনে। তারপর তাতে পানি ঢেলে দেবেন।   আর হাত না ধুয়ে নাকে মুখে কানে চোখে হাত দেবেন না। তাহলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন অনেকখানি ঠেকানো যাবে।  

মনে রাখবেন, এই ভাইরাস যত বেশি দিন দেশে থাকবে, তা আমাদের জন্যে বিপদ বাড়াবে। এখন এসব অভ্যাস দ্রুত রপ্ত করতে পারলে আমরা দ্রুত এই বিরক্তিকর করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারবো। এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা কথা বলুন। নিজেদের মধ্যে, পরিচিতদের মধ্যে। আসুন মাস্ক পরে,শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, ভাইরাস না ছড়িয়ে সুস্থ্য থাকার একটা সামাজিক চেষ্টা করি।  

আনোয়ার সাদী, সিনিয়র নিউজ এডিটর, নিউজটোয়েন্টিফোর।

news24bd.tv/আলী