নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেডিও এবং টেলিভিশনে যে আজান দেওয়া হয় সেটি শুনলে এর উত্তর দিতে হবে কি? উত্তরটা হলো:- ‘না’।
কেননা হাদিসে আজানের উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে।
আজানের উত্তর দেওয়ার শর্ত হলো-
নামাজের ওয়াক্তে মুয়াজ্জিন যে আজান দেয়; তা শুনে অনুরূপ উত্তর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হাদিসে। রেকর্ডকৃত কোনো আজান সম্প্রচার করা হলে সে আজানের উত্তর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
আর রেডিও-টিভিতে যে আজান প্রচারিত হয়, তা আগে থেকে ধারণ করা। তাই আগে থেকে রেকর্ড বা ধারণকৃত আজানের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।আজানের উত্তর দেওয়া সম্পর্কে হাদিসের নির্দেশনা
১. হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনতে পাও; তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তা-ই বলবে। ’ (বুখারি, মুসলিম)
২. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা যখন মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে শুন, তখন সে যা বলে তোমরাও তা-ই বল।
৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ছিলাম। এমন সময় বিলাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আজান দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। তিনি আজান শেষ করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গ (মুয়াজ্জিন বিলাল) এর অনুরূপ বলবে (আজানের জবাব দেবে), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (নাসাঈ)
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে আজানের উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা হলো-
আজানের নির্ধারিত সরাসরি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ থেকে শোনা আজানের উত্তর দেওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
‘যখন তোমরা মুয়াজ্জিনকে বলতে শুনবে তখন তোমরাও তার অনুরূপ বল। ’ (মুসলিম)
হাদিসের এ নির্দেশনার কারণেই আগে থেকে রেকর্ড বা ধারণকৃত রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নাত বা মাসনূন বলে বিবেচিত হবে না।
news24bd.tv নাজিম