হাতিরঝিলে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধ ঘোষণা ও উচ্ছেদের নির্দেশ

Other

রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটি পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, ঢাকার ফুসফুস হিসেবে খ্যাত প্রকল্পটি সুরক্ষা করা একান্ত অপরিহার্য। এ জন্য কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।

আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।  

ঢাকার ফুসফুস খ্যাত হাতির ঝিল নগরবাসীর সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা। কিন্তু এই হাতিরঝিল ঘিরেও গড়ে উঠেছে এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী। সময়ের পরিক্রমায় প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল রেস্তোরাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

এতে নান্দনিক সৌন্দর্য হারানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় লে আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চললেও রাজউক নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয়ে ২০১৮ সালে ১ আগস্ট গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটের ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।

রায়ের নির্দেশনায় বলা হয়:

১.তুরাগ নদীর রায়ের নীতি অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিলকে জনগণের সম্পত্তি ঘোষণা  ২. প্রকল্পে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধ সব বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হলো। ৩. প্রকল্পের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করা। ৫. প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে বুয়েটের পুকৌশল বিভাগ ও সেনাবাহিনীর ২৪তম ব্রিগেডকে যৌথভাবে পরামর্শক নিয়োগ করা হলো। ৬. প্রকল্প এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ডে ওয়াশরুম তৈরি করা। ৭. প্রকল্প এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা। ৮. সাইকেল ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা লেন করা । ৯. লেকে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করা।

রায়ের কপি পাওয়ার পর রাজউকের সঙ্গে আলোচনা করে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান ডিপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

আদালত রায়ে বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে প্রকল্পের নামকরণের পরামর্শ দেন।

news24bd.tv/আলী