লকডাউনে ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় দিন কাটছে অনেকের

লকডাউনে ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় দিন কাটছে অনেকের

Other

একদিকে আয় রোজগার বন্ধ, পরিবারের ভরণপোষণ, অন্যদিকে ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট ট্যাক্স দিতে পুঁজি শেষ হয়ে গেছে অনেকের। ফলে শহরের বাড়িঘর ছেড়ে অনেকে পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামে। বিশ্লেষকরা বলছেন, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নিন্ম আয়ের মানুষকে দ্রুত সহায়তার আওতায় না আনলে জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখাই হবে কঠিন।  

মো. শাহজামাল খুলনার নিউ মার্কেটের অভিজাত শাড়ির দোকানে বিক্রয় কর্মি।

করোনায় ছয় মাসের বেশি তার চাকরি নেই। ছোট দুই ছেলেসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। আয় রোজগার বন্ধ। ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ভরনপোষন সব মিলিয়ে সীমাহীন সংকটে পড়েছেন শাহজামাল।
সহায়তার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে ধর্নাও দিয়েছেন কয়েকদিন, কিন্তু সাহায্য মেলেনি। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে ফুটপাতে ফল বিক্রি করছিলেন। তবে দেনার দায়ে ব্যবসার সেই পুঁজিও ফুরিয়ে গেছে।

এদিকে তিন মাসের ঘরভাড়া বাকি থাকায় এরই মধ্যে ঘর ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন বাড়িওয়ালা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথায় যাবেন, কি করবেন- শাহজামালের সামনে শুধুই অন্ধকার। করোনায় শেষ হয়ে গেছে তার সব স্বপ্ন।

করোনার প্রভাবে এভাবে পেশা হারিয়ে শাহজামালের মতো খুলনার প্রায় ৫০ হাজার নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। জীবিকা টিকিয়ে রাখতে কেউ দিনমজুর, রিক্সাভ্যান চালানো বা রাস্তার পাশে সবজি, ফল বিক্রির দোকান দিয়েছেন। কিন্তু লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ না থাকায় সেই আয়-রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় দিন কাটছে অনেকের।

এদিকে সরকারি প্রণোদনার কথা বলা হলেও তা’ পায়নি নিম্নও মধ্যবিত্ত মানুষরা। ফলে লকডাউনে তাদের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ি এই নেতারা

জানা যায়, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নি¤œআয়ের মানুষকে সহায়তার জন্য সরকার তিন হাজার দুইশত কোটি টাকার প্রনোদনা ঘোষনা করেছে। অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ওই টাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিগত দিনের ঋন মওকুফ ও ট্রেড লাইসেন্স ভ্যাট ট্যাক্সে বিশেষ ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ি নেতা।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে প্রনোদনার অর্থ সহায়তার পাশাপাশি সার্বজনিন রেশনিং পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

news24bd.tv/এমিজান্নাত