টিকা: ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার অ্যান্টিবডি ১০ সপ্তাহে কমতে পারে  ৫০ শতাংশ

টিকা: ফাইজার-অ্যাস্ট্রাজেনেকার অ্যান্টিবডি ১০ সপ্তাহে কমতে পারে ৫০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির মাত্রা কমা শুরু হতে পারে। আর ১০ সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।

ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউএলসি) বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি করেছেন।

তাদের দাবি, যদি অ্যান্টিবডির মাত্রা এভাবে কমতে থাকে, তবে টিকার সুরক্ষা প্রভাবও হ্রাস পাওয়া শুরু করবে।

বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা বেশি দেখা দেবে। তবে এই সুরক্ষা কতটা দ্রুত কমতে পারে, তা নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা যাচ্ছে না বলে দাবি করেন গবেষকেরা।

ইউএলসির ভাইরাস ওয়াচ গবেষণায়  বলা হয়, ভারতে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটি ডোজের চেয়ে ফাইজারের দুই ডোজে অ্যান্টিবডির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।  

এদিকে, ইউএলসি ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইনফোরম্যাটিকসের মধুমিতা শ্রুতি বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা কিংবা ফাইজারের দুটি ডোজ নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে মানুষের অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বেশি থাকে।

করোনায় মারাত্মক অসুস্থতার ক্ষেত্রে মানুষ একারণেই খুব সুরক্ষিত থাকতে পারে এবং সেদিক থেকে পুরোপুরি টিকা নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:


করোনাকালে ইমিউনিটি বাড়াবে মৌরি চা

বান্দরবানে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা' রাখার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

টি-স্পোর্টসে আজকের খেলা

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি, অ্যান্টিবডির এই মাত্রা ছয় সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। ১৮ ও এর ওপরের বয়সের ৬০০ এর বেশি মানুষের ওপর গবেষণার ভিত্তিতে এ ফল পাওয়া গেছে এবং সব শ্রেনির সব মানুষের ক্ষেত্রেই তা একই।  

অন্যদিকে, এভাবে অ্যান্টিবডি কমে যাওয়ার বাস্তবিক প্রভাব কী, তা এখনো পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি।

news24bd.tv রিমু