বরিশালের ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন। এই সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা কী এমন কোনো ভাষা ব্যবহার করেছেন- যা এই দেশে এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি! রাজনীতিকরা, সরকারের মন্ত্রী এমপিরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি যে শব্দমালা ব্যবহার করেন- সেগুলো কী এর চেয়ে ভালো কিছু? তা হলে! একটি রাষ্ট্রের স্টিয়ারিং এ থাকা রাজনীতিকদের ভাষার চেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভাষা উৎকৃষ্ট কিছু হবে- সেটি আমরা আশা করি কী ভাবে?
আমার তো মনে হয়- সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষার চেয়েও বক্তব্য, বিবৃতির পয়েন্ট নিয়ে বেশি আলোচনা হওয়া দরকার।
‘মেয়র বরিশালে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন’ বলে যে অভিযোগ তারা তুলেছেন, সেটি নিয়ে কথা বলা দরকার।
কোনো জনপদে কেউ ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করলে সেটি দমন করা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পরে।
বরিশালের প্রশাসন এতোদিন এ নিয়ে কথা বলেনি কেন- সেই প্রশ্নে আলোচনা হওয়া দরকার। প্রশাসন এতোদিন কেন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা নিতে পারেনি- তা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
পৃথিবীর দেশে দেশে প্রশাসন স্বাধীনভাবেই কাজ করে।
রাজনীতি তথা দল দ্বারা প্রশাসন পরিচালিত হয় না। রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিতরা দুর্নীতি করলে, অপরাধ করলে, তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এবং সক্ষমতাও প্রশাসনের থাকে এবং থাকতে হয়।
আবারো বলি, বরিশালে আইনের শাসন মর্যাদা পাক। ‘আমলাতন্ত্র’ কিংবা ’জমিদারতন্ত্রের’ক্ষমতার প্রদর্শনী যেনো না হয়ে ওঠে কিছুতেই। অতীতের গৌরবগাঁথা দিয়ে বর্তমানের অপরাধ আড়াল হয় না। অপরাধ অপরাধই, তার কোনো পারিবারিক পরিচয় থাকে না, তার কোনো রাজনীতিও থাকে না। অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখা হোক।
লেখক- শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।
(মত-ভিন্নমত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv তৌহিদ