ক্ষমতাশীনেরাই মাদকের বাণিজ্যে যুক্ত

ক্ষমতাশীনেরাই মাদকের বাণিজ্যে যুক্ত

Other

১৯৬১ সালে জাতিসংঘ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কনভেনসন করে একটা নীতিমালা গ্রহণ করে। এরপরেই মাদককে দেশে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তখন থেকে ছয় দশক পর্যন্ত মাদকের ব্যবহার বেড়েছেই। কোন কোন দেশে বিশ ভাগ পর্যন্ত মানুষ মাদক ব্যবহার করে।

এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অপরাধ আর মাদকের বিশাল ব্ল্যাক মার্কেট।

কার্যত মাদককে দমন করা যায়নি। অথচ আশ্চর্যজনক হচ্ছে, সামাজিকভাবে মাদক নানা দেশে আদিকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও ভয়ংকর মাদককে আন্তর্জাতিক বানিজ্যে পরিণত করেছিল পশ্চিমই। আফিমকে বৃটিশরা আন্তর্জাতিক লাভজনক বাণিজ্যে রূপান্তরিত করেছিল।

শুধু তাই না রক্তক্ষয়ী যুদ্ধও লাগিয়ে দিয়েছিল।

গবেষকেরা এখন গবেষণা করে দেখাচ্ছেন, মাদককে আইনসিদ্ধ করে দিলে মাদকের ব্যবহার কমবে। সিগারেট যেভাবে রেগুলেশনের মধ্যে দিয়ে বিক্রি আর বিপণন হয়, সেভাবেই মাদকের বিক্রি হলে ধীরে ধীরে মাদকের ব্যবহার কমে আসবে বলে গবেষকরা মত দিয়েছেন।

কথায় যুক্তি আছে, কারণ পশ্চিমে সিগারেটের ব্যবহার কমছে। ধূমপায়ীদের সংখ্যা হু হু করে কমছে পশ্চিমে।  

কানাডার মতো দেশে এখন গাঁজা বৈধ। পৃথিবীর অনেক দেশই গাঁজার মেডিক্যাল ব্যবহার বৈধ করেছে যেমন আমাদের পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা। গাঁজা ক্যান্সার রোগীদের ব্যথা উপশমে খুব ভালো কাজে দেয়। অনেক দেশ গাঁজাকে লিগ্যাল না করলেও ডিক্রিমিনালাইজ করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের ৩৩টিতেই চিকিৎসা কাজে গাঁজা ব্যবহার বৈধ।

মাদককের নিয়ন্ত্রণে যেই পরিমাণে অর্থ রিসোর্স ব্যয় হয় আর তার পাশাপাশি অপরাধ আর রক্তপাত হয় সেগুলোকে দূর করে দেয়া যাবে মাদককে রেগুলেটেড মার্কেটে নিয়ে এলে। আর এই বেঁচে যাওয়া অর্থ দিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালানো যাবে।  

বাংলাদেশে মাদক নিষিদ্ধ এবং ক্রিমিনালাইজড। কিন্তু বাংলাদেশে ভয়ানক মাদকের ব্যবহার কী কমেছে? এই গবেষণাই বলছে কম ক্ষতিকর মাদক নিষিদ্ধ করলে মাদকের ব্যবহারকারীরা আরো বেশি ক্ষতিকর মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

সত্তরের দশকে বাংলাদেশে তাড়ির পর্যন্ত দোকান ছিল। আজকে তাড়ির দোকান নাই, কিন্তু ভয়ানক সব মাদকে দেশ ছয়লাব। আর ক্ষমতাশীনেরাই সেই মাদকের বাণিজ্যে যুক্ত।

আরও পড়ুন:


পরীমণির জামিন আবেদন দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের রুল

বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের আঘাতে তলা ফেটে ট্রলার ডুবি


news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর