পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যা কবলিত এলাকার পানিও নামলে ও দুর্ভোগ কমেনি লাখো বানভাসির।
বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের সঙ্কট রয়েছে। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবও।
জেলা প্রশাসনর পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয় এমন অভিযোগ বানভাসিদের। প্রতিনিধিদের তথ্য ও চিত্রে ডেস্ক রির্পোট।
জামালপুর:
জামালপুরে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, দশআনি ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দুগর্ত এলাকা থেকে বানের পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের।
সিরাজগঞ্জ:
একই চিত্র সিরাজগঞ্জে। নদী তীরবর্তি তিনটি উপজেলার ঘরবাড়িতে এখনও বন্যার পানি থাকায় উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকে। এবারের বন্যায় এসব উপজেলার সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
ফরিদপুর:
ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি রয়েছে ১০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ । বানের পানির তোড়ে বিভিন্ন স্থানে গ্রামীন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বানভাসিদের অভিযোগ, বন্যা ও করোনার কারণে কাজকর্ম না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করলেও ভাগ্য জুটেনি ত্রাণ সহায়তা ।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন প্রতিমন্ত্রী
ইউলুপ এখন ‘যানজটের প্রধান কারণ’
রাজবাড়ী:
রাজবাড়ীতে এখনও পানিবন্দি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ । দীর্ঘদিন পানিবন্দি থাকায় এরই মধ্যে বানভাসীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। এখানকার বিভিন্ন উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট , সবজি, ধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত।
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে। তবে ঘরবাড়িতে এখনও বানের পানি থাকায় সড়ক ও উচুঁ বাঁধে খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছেণ অনেকে । বন্যায় তলিয়ে গেছে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ২২০টি পুকুরের মাছ ভেসে প্রায় ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ।
news24bd.tv নাজিম