বরিশাল বিভাগে ৫টি নদীর ৯টি পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবে এই অবস্থার সৃস্টি হয়েছে।
থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে।সমূদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। আগামী দুই একদিন বৃস্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় থেকে জানা যায়, গতকাল বিকেল পৌনে ৩টায় ভোলার তজুমুদ্দিনে সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ০.৬২ সেন্টিমিটার এবং ৩টায় একই নদীর দৌলতখানে ০.৬৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমা অতিক্রম করে।
পাউবো দক্ষিণাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কীর্তনখোলা নদীর পানি গতকাল দুপুর আড়াইটায় বিপদসীমার ০.২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানি ড্রেন ও খাল দিয়ে প্রবেশ করায় নগরীর সদর রোড, হাটখোলা, পলাশপুর, রসুলপুর, ভাটিখানা, সাগরদী, ধানগবেষণা রোড, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনী, আগরপুর রোড, বগুড়া রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন প্রতিমন্ত্রী
ইউলুপ এখন ‘যানজটের প্রধান কারণ’
এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার প্রণব কুমার রায় জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং আর্শ্বিনের ভরা অমাবস্যার প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সমূদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
news24bd.tv নাজিম