গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট মহাসড়ক ৪৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক। মহাসড়কটির গুরুত্ব ও জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৬১২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে পাশ হয়। পরবর্তিতে এর দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও সম্ভব হয়নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ।
আর যে কারণে ৮ মাসেও শুরু করা সম্ভব হয়নি গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দ ও গর্ত তৈরী হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দূর্ভোগ বেড়েছে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষের। দ্রুত সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু করার দাবী ভুক্তভোগি সাধারণ মানুষের।টেকেরহাট থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শহর পযর্ন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার।
দরপত্র আহবানের দীর্ঘ ৮ মাস পার হলেও যাচাই বাছাই শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক বিভাগ। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দ ও গর্তের। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট যেতে যেখানে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট এখন সেখানে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কাজ শুরু করতে না পেরে পাথর ও পিচ দিয়ে সড়কটি রিপিয়ারিং করে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করলেও খুব একটা কাজে আসছে না।
আরও পড়ুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শেষ, স্কুলে যেতে মুখিয়ে আছে শিক্ষার্থীরা
মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে নরসিংদী-ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
কাদের মির্জার নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন জাপা নেতা
কুমিল্লায় পাথরবোঝাই ট্রাকের চাপায় রিকশায় থাকা ৩ জন নিহত
সড়কটির পাশ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে মিল ও ইন্ড্রাসট্রি। কিন্তু সড়কটির বেহাল অবস্থা থাকায় যাত্রী পরিবহন ও মালামাল আনা নেয়া করতে ভোগান্তীতে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীক ক্ষতি হওয়ায় দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করার দাবী ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
দরপত্রের জটিলতা কাটিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেয়া গেলে সড়কটিতে উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহিদ হোসেন।
ভোগান্তি লাঘবে ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে দ্রুত সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু করা হোক এমনটিই চাওয়া সাধারণ মানুষের।
news24bd.tv এসএম