বিএনপি সব সময় পেছনের দরজা পছন্দ করে: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি সব সময় পেছনের দরজা পছন্দ করে: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (এমপি) বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াও পেছনের দরজা পছন্দ করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা পচ্ছন্দ করে। আর সেই কারণেই গত সাড়ে ১২ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে কিছু করা যায় কিনা সেই চেষ্টাই করেছে।

এই ধরনের রাজনীতি তাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।

আজ সকালে খুলনা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল থেকে করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৭৫জনকে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল থেকে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালেও নির্বাচন বর্জন করে। ২০১৮ সালে নির্বাচনে আসবে কিনা আসবে না নির্বাচনে আসে। গাঁধা জলঘোলা করে খায়। বিএনপির অবস্থাও তেমনি। আবারো নির্বাচনে না যাওয়া আত্মহনন সিদ্ধান্ত।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। বক্তব্য দেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সাংবাদিক অমিয় কান্তি পাল।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, সাড়ে ১২ বছর আগে বাসি ভাত চাওয়ার কণ্ঠ পাওয়া যেত। এখন আর শোনা যায় না। এটা বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করতে চান। এ জন্য বিধাবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বৃদ্ধভাতা, মাতৃত্বকালীনসহ অনেক ভাতা চালু করেছেন। সাধারণ মানুষ তার সুফল পাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বসে থাকেননি। তথ্য প্রযুক্তির সর্ব্বোত্তম ব্যবহার করে ই-ফাইল চালু, মন্ত্রী পরিষদের সভা, একনেট সভা হয়েছে। বিশ্বে জিডিপির হার কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে। জিডিপি রেট ভারতকে ছাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় ২৫০ ডলার বেড়েছে। আমরা ১০ বছর আগে পাকিস্তানকেও সব সূচকে হারিয়েছি।

সাংবাদিকদের জন্য ১০ কোটি অনুদান প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুদান থেকে সাংবাদিকদের করোনাকালীন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যারা ওই সময়ে চাকুরিচ্যুত, বেতন পাননি তাঁরা সকলে এই সহায়তা পাবেন। যারা সব সময় সরকারের সমলোচনা করেন, তারও এ থেকে বাদ পড়বেন না।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি খুলনায় পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র, সিনেপ্লেক্সসহ তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বাস দেন।