‌‘ভোটডাকাতি’ ‘দিনের ভোট রাতে’ ও ‘বিনাভোটে নির্বাচনের’ জনক আ.লীগ: রিজভী

‌‘ভোটডাকাতি’ ‘দিনের ভোট রাতে’ ও ‘বিনাভোটে নির্বাচনের’ জনক আ.লীগ: রিজভী

অনলাইন ডেস্ক

দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার যদি কোনো কথা না শোনে তা হলে রাজপথেই চূড়ান্ত ফয়সালা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। দেশে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।

নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন:


দুই উপজেলা ও ১০ পৌরসভা উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট পেলেন যারা

ময়মনসিংহ মেডিকেলে করোনা ইউনিটে আরও ৮ জনের মৃত্যু

শাহরুখপূত্র আরিয়ানকে হৃতিকের চিঠি, মুখ খুললেন কঙ্গনা

আরিয়ান খান গ্রেপ্তারের পর শাহরুখকন্যা সুহানা যে পোস্ট দিলো!


তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন তাদের অধীনে অতীতের সব নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশে ভোটডাকাতির জনক হলো আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্র হত্যাকারী হলো আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের অধীনে যত নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচন হয়েছে ফেনী স্টাইলে। কেন্দ্র দখল করে জালভোটের  উৎসব করে আওয়ামী লীগ, দিনের ভোট রাতে করে আওয়ামী লীগ, বিনাভোটে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ।   

‘আপনাদের মনে আছে ১৯৭৩ সালে খন্দকার মোশতাক নির্বাচনে পরাজিত হলে তাকে জেতাতে হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় ব্যালট এনে তাকে বিজয়ী করা হয়েছিল। সেই যে জালিয়াতি শুরু করল আওয়ামী লীগ, তারই ধারাবাহিকতা আজও বহমান। এখন বাংলাদেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাসনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে তারা। ’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। আইন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে হলে, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। পরিষ্কার করে বলতে চাই— নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামীতে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না, জনগণ হতে দেবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে এ সরকারকে হটিয়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেই। আর সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার যদি কোনো কথা না শোনে তা হলে রাজপথেই হবে চূড়ান্ত ফয়সালা।

news24bd.tv/ তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর