টাইটানিকের নিচে চাপা পড়ে গেল নিউক্লিয়ার সাবমেরিন উদ্ধারের অপারেশন

টাইটানিকের নিচে চাপা পড়ে গেল নিউক্লিয়ার সাবমেরিন উদ্ধারের অপারেশন

Other

আটলান্টিকের তলদেশ থেকে ডুবে যাওয়া টাইটানিক উদ্ধারের ঘটনাকে আমরা একটা সাইন্টিফিক অনুসন্ধানের ঘটনা হিসেবেই জানি। কিন্তু টাইটানিক উদ্ধারের ঘটনা ছিলো আরো বড় কিছু ঢাকা দেয়ার জন্য একটা মহাপরিকল্পনার অংশ।  

১৯৬০ সালে আটলান্টিকে পরমানু শক্তি চালিত দুটো সাবমেরিন ডুবে যায়। একটার নাম ছিলো ইউ এস এস থ্রেসের আর আরেকটার নাম ছিলো ইউ এস এস স্করপিয়ন।

রাশিয়ার চোখ এড়িয়ে এই দুটো সাবমেরিন উদ্ধার করাটা আমেরিকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

উডস হোল অশেনোগ্রাফিক ইন্সটিটিউটকে বলে তারা টাইটানিকের উদ্ধার ফান্ড করতে পারে যদি তারা ঢুবে যাওয়া সাবমেরিন দু'টো খুঁজে তুলে দেয়।

শুরু হলো কাজ। সাবমেরিন দুটো কোথায় ডুবে ছিলো সেটা আমেরিকান মিলিটারির জানাই ছিলো।

উদ্ধার হলো সে-দু'টো। এরপরে হাতে থাকলো মাত্র বারোদিন, উদ্ধারে নামলো সমুদ্র বিজ্ঞানিরা। মিডিয়াকে খরব দেয়া হলো। হইচই করে উদ্ধার করা হলো টাইটানিক কিন্তু এই হইচইয়ের পিছনে চাপা পড়ে গেলো ঢুবে যাওয়া দুইটা নিউক্লিয়ার সাবমেরিন উদ্ধারের মিলিটারি অপারেশন।  

তবে,আমরা মিলিটারি টেকনোলজি অনেক কিছুই ব্যবহার করি; যা আদতে মিলিটারি ইনোভেশন যেমন মোবাইল ফোন। ডাক্তারি বিদ্যায় অর্থোপেডিক্স আর ট্রমাটোলজি এই দুটোই আর্মি মেডিক্যাল কোরের উদ্ভাবিত এবং তাদের হাতেই বিকশিত হওয়া বিজ্ঞানের শাখা।  

ক্যানের খাবার, ডিজিটাল ক্যামেরা, স্পেস প্রোগ্রাম, ব্লাড ব্যাংক আর ব্লাড ট্রান্সফিউশন, নাইট ভিশন, জেট ইঞ্জিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, সুপার গ্লু, ইন্টারনেট, জিপিএস, পেনিসিলিন, জিপ, রিস্ট ওয়াচ এমনকি কম্পিউটার এসবই মিলিটারি ইনোভেশন।

মিলিটারি টেকনোলজির কাছে সভ্যতার দায় অনেক। দাগ থেকেও মাঝে মাঝে চমৎকার জিনিস তৈরি হয়।

আরও পড়ুন:

ক্লাবের চেয়ে জাতীয় দলকে বেশি সময় দেয়ার অভিযোগ মেসির বিরুদ্ধে!


news24bd.tv/ নকিব