জিয়ার সমাধি অপসারণ করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জিয়ার সমাধি অপসারণ করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, খালেদা জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত তার পুত্র তারেক এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জিয়া পরিবার দেশকে ধ্বংস করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তারেক লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। কুমিল্লায় পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার পরিকল্পনাকারী তারেক ও বিএনপির নেতারা।

তারেক গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। এই তারেক গংদের বাংলাদেশ থেকে চীরতরে বিতাড়িত করতে হবে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা হতে জিয়ার সমাধি অপসারণ করা হবে এবং খুনি জিয়ার নামে চট্টগ্রামে স্মৃতি জাদুঘর থাকতে পারে না।  

‘মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য’ এই স্লোগানে গতকাল রবিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যুদয়। পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। সিপাহী বিপ্লবের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। সিপাহী বিপ্লবের নামে সেদিন জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করে একটি রক্তাক্ত ইতিহাসের জন্ম দেয়।

ডা. মুরাদ হাসান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংসভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার পরে খুনি মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। খুনি মোশতাকের নেপথ্যে ছিল ১৫ আগস্টের মূল খুনিরা। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফ মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হওয়া মেনে নিতে পারেন নাই। তিনি তার অনুগতদের নিয়ে ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যূত্থান ঘটান এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন। বন্দি দশায় জিয়া ফোন করে কর্নেল তাহেরকে বলেন “সেভ মাই লাইফ”। সে দিন কর্নেল তাহের জিয়াকে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করেন। বন্দি দশা থেকে মুক্ত হয়ে খালেদ মোশারফকে ওই দিনই হত্যা করে জিয়া।

আরও পড়ুন:

ইতালিতে মাফিয়াদের বড় ধরণের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে

তেলের দাম না বাড়ানোর আরো উপায় ছিলো

সন্তানদের উপর কতটা নজরদারি করা উচিত?

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীকে সম্প্রতি সময়ে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে সাহসী বক্তব্য রাখার জন্য বিশেষ সম্মননা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিেত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য- সচিব,অধ্যাপক ডা. মামুন মাহতাব স্বপ্নিল, ভাস্কর শিল্পী রাশা প্রমুখ।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত