এটা মনে হয় সাংবাদিক ভ্রাতা-ভগ্নিগণ ভুলে গেছেন

এটা মনে হয় সাংবাদিক ভ্রাতা-ভগ্নিগণ ভুলে গেছেন

Other

বাংলাদেশের আইন-বিচার বিষয়ক সাংবাদিকতা কোনো দিনই বুঝি বালেগ হবে না! মোটামুটিরকমের কিছু চটকদারি কথা বকে দিয়ে সংবাদমাধ্যম আর সামাজিক মাধ্যমে ১/২ দিনের জন্য উত্তাপ ছড়িয়ে তারপর দ্রুতই শিথিল হয়ে যাবে।

কেনো রে বাপু, যে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ আপন জুয়েলার্স মালিকদের মামলায় ব্যবহৃত হয়েছে সে সবই বেশ আগেই লিপিবদ্ধ করা। সেগুলোর অনুলিপি (certified copy বা নকল) চাইলেই আইনসঙ্গত উপায়েই সংগ্রহ করা যেতো আগেই। মামলাকারী/ভিকটিমদের আইনজীবীদের কাছেও পাওয়া যেতো।

সেসবের ভিত্তিতে দারুণ দারুণ সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও আজ মিলতে পারতো।

আর রায় যেহেতু এখন প্রকাশিতই হয়ে গেছে, এখন তা পাবলিক ডকুমেন্ট। এর উপর আলোচনা, বিশ্লেষণ করতে বাধা নেই। এর সার্টিফাইড কপিও সংগ্রহ করা যায়।

এছাড়া আর কী কী উপায়ে রায় হস্তগত করা যায়, এটা মনে হয় সাংবাদিক ভ্রাতা-ভগ্নিগণ ভুলে গেছেন! অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস পায়ই। সাংবাদিকতা না করতে করতে ভুলে যাওয়াটাও অসম্ভব নয়!!

অবশ্য সস্তাতেই যদি পাবলিককে মাতিয়ে-তাতিয়ে রাখা যায়, তাহলে আর কারই বা কষ্ট করার গরজ থাকে।

লেখাটি মিল্লাত হোসেন-এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ( লেখাটির আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

মিল্লাত হোসেন, বিচারক

news24bd.tv/ তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর