প্রতিদিনই হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে রয়েছে কান ব্যথা, কানে কম শোনা, কানে ক্ষত তৈরি হওয়া ও খুব কাছের শব্দকে দূরের বলে মনে করার রোগী। সম্প্রতি এমন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে চট্টগ্রামে। কানে শোঁ শোঁ কিংবা ভোঁ ভোঁ শব্দ করা রোগী প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন।
করোনাকালে লকডাউন ও অসুস্থতায় ঘরবন্দী মানুষ মোবাইলে বেশি সময় কাটানো, মানসিক অবসাদ কাটাতে অনলাইনে চ্যাট, ভিডিও গেমস বা ওয়েব সিরিজে ব্যস্ত থাকা, মোবাইল ও হেডফোনে কথা বলা, হেডফোনে নিয়মিত গান শোনা, কনফারেন্স কল, অডিও-ভিডিও কল ও ভার্চুয়াল মিটিংয়ের কারণে ডিভাইস ব্যবহার বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে কানের সমস্যাও।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী নাক-কান-গলার চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অন্তত ২০ জনই কানে ভোঁ ভোঁ বা শোঁ শোঁ শব্দ শোনা রোগী।
চমেক হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘প্রযুক্তির ডিভাইসগুলো ব্যবহারের কারণে কানের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কানে ভোঁ ভোঁ বা শোঁ শোঁ শব্দের রোগী। হাসপাতালের প্রতিদিন অন্তত ২০ জন এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে রোগী আসছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত চেম্বারেও বাড়ছে এ জাতীয় রোগী।
তবে সব বয়সী এবং শ্রেণি-পেশার মানুষের উচিত অপ্রয়োজনীয় মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা। একই সঙ্গে কম রেডিয়েশনের মোবাইল ব্যবহার করা। তাছাড়া অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে নির্গত রেডিয়েশনের প্রভাবে কম বয়সেই শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। ’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কানে ভোঁ ভোঁ বা শোঁ শোঁ শব্দ করে এমন রোগীর সংখ্যা সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে বেশি। কারণ উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ব্যবহার করছেন অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত ও ধনীরা। যারা সাধারণত হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারেই যান। ফলে হাসপাতালে এ জাতীয় রোগীর সংখ্যা কম বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন:
ফোন কল রেকর্ড করছে কেউ? যেভাবে বুঝবেন
দেখা গেছে, রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫। তবে পুরুষদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি। তাছাড়া অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের সময় শব্দ মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে কানে পৌঁছানোর কারণে তা সরাসরি মস্তিষ্কের কোষে আঘাত করার আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ থেকেও মাথা যন্ত্রণা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
news24bd.tv রিমু