শেরপুরে পৃথক হত্যা মামলায় ২ ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সাজাপ্রাপ্ত মফিজুল ইসলাম ও বাচ্চু মিয়া

শেরপুরে পৃথক হত্যা মামলায় ২ ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর

শেরপুরে শিশু ও গৃহকর্তাকে হত্যার পৃথক মামলায় ২ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার গড়কান্দা মহল্লার আমির হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম কালু (৩৩) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার তামাগাঁও গ্রামের মৃত শাহাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫২)। একইসাথে উভয় আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়রা আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর ঘর-সংসার এবং দাম্পত্য জীবনে ২ জন সন্তান জন্মের পরও বনিবনা না হওয়ায় মফিজুল ইসলাম কালুকে তালাক দিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর কোন্নগর এলাকার আরমান আলীর পুত্র বাবুল মিয়া (৩৫) কে বিয়ে করে শাহিদা বেগম।

এরপর শাহিদা স্বামী বাবুলকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী খুজিউরা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বসবাস করছিল। কিন্তু সেই বিয়ের একমাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে বাবুল ও শাহিদা প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে ওঁৎ পেতে থাকা মফিজুল ছুরি দিয়ে বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় শাহিদা ও স্থানীয় লোকজন কালুকে আটক করে পুলিশে দেয়।

পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১ মে একমাত্র আসামি মফিজুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই আবুল মোকাররম নুরউদ্দিন।

বিচারিক পর্যায়ে বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জন আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

অন্যদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর গ্রামের গোলাম রব্বানীর শিশুপুত্র ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল মামুন (৭) কে স্কুলের খেলার মাঠ থেকে কৌশলে ডেকে নিজ ঘরে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ ট্রাংকে লুকিয়ে রাখে বাচ্চু মিয়া। পরদিন ৩০ আগস্ট সকালে পার্শ্ববর্তী রামেরকুড়া এলাকাস্থ মহিলা কলেজ সংলগ্ন নদীর পাড়ে মামুনের লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ওই দিনই থানায় মামলা হলে তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর বাচ্চু মিয়া ও সহিতন নেছার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই খোকন চন্দ্র সরকার। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৬ জন আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন


ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: তিন দিনের রিমান্ডে স্বামী ইফতেখার

news24bd.tv এসএম