দুই সংসার ভাঙ্গলো ছাত্রলীগ নেতা, অনশনে প্রেমিকা

দুই সংসার ভাঙ্গলো ছাত্রলীগ নেতা, অনশনে প্রেমিকা

অনলাইন ডেস্ক

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমিকার দুই সংসার ভাঙ্গেন ছাত্রলীগ নেতা মো. রাজীব হাসান। এরপরও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক। এদিকে বার বার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিয়ে না করার জেরে  বিয়ের দাবিতে ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে অনশন করছেন সেই নববধূ(প্রেমিকা)। দুদিন ধরে ওই নববধূ অনশন করছেন।

 

প্রেমিকার অনশনের খবর পেয়ে শত শত উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে ওই বাড়িতে। মানুষদের তাড়াতে কাস্তে হাতে মাঝেমধ্যেই হামলা চালাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসানের প্রতিবন্ধী মা।

প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়েই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক ওই ছাত্রলীগ নেতা। রাজীব হাসান ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের মো. হেলাল  উদ্দিনের ছেলে ও বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

ভুক্তভোগী পরিবার এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানায়, পূর্ব প্রেমের সূত্র ধরে প্রথম বিয়ের সংসারও ভাঙেন ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান। এরপর শুধু প্রেমিকার দেহভোগেই সীমাবদ্ধ থাকেন ছাত্রলীগ নেতা রাজীব। বিয়ে না করায় প্রেমিকাকে পরিবারের লোকজন মাসখানেক আগে বিয়ে দেন চৌহাট ইউনিয়নের এক আইনজীবীর সঙ্গে। পূর্বের একই কায়দায় সপ্তাহ খানেক আগে প্রেমিকার দ্বিতীয় স্বামীর ঘরও ভাঙেন প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান।

ফের বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকার সঙ্গে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক। প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিয়ে না করে নানা অজুহাতে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। অবশেষে স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত প্রেমিকা নিরুপায় হয়ে বুধবার দিনগত রাত ১০টায় প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।

আরও পড়ুন: পরকীয়া প্রেমে ঘর ছেড়ে, ঝোপের মধ্যে পড়ে ছিল লাইলির লাশ

এ ব্যাপারে অনশনরত নববধূ বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাজীব আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কও স্থাপন করে। পরে বিয়ের জন্য চাপা দিলে সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হয়ে নানা টালবাহানা করে সময় পার করতে থাকে।

তিনি বলেন, আমার পরিবার বিষয়টি টের পেয়ে অন্যত্র আমাকে বিয়ে দেন। রাজিব হাসান প্রেমের সম্পর্কের কথা বলে আমার স্বামীর ঘর ভাঙে। ফের আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে দৈহিক সম্পর্কও স্থাপন করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে। এরপরও বিয়ে না করায় আমার পরিবার আবার আমাকে বিয়ে দেন। এ স্বামীর ঘরও একই কায়দায় ভেঙে দেয় রাজীব।  আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি বাড়ি ছাড়ব না। এই আমার শেষ কথা।

news24bd.tv/আলী