১৫ দিন বঙ্গোসাগরে ভাসছিল ২০ জেলে

দ্বীপ জেলা ভোলার ২০ জন জেলে।

১৫ দিন বঙ্গোসাগরে ভাসছিল ২০ জেলে

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে গভীর চরম সংকটে পড়ে যায় পিশিং ট্রলারে থাকা দ্বীপ জেলা ভোলার ২০ জন জেলে। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে সাগরে হারিয়ে যান এসব জেলেরা।

একপর্যায়ে তাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় রসদ ফুরিয়ে গেলে বাঁচার সব আশা ছেড়ে দেয় ২০ জেলে। পরে তাদের ফিসিং ট্রলার ‘এফ বি আল্লার দান’ ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় চলে যায়।

টানা ১৫ দিন সাগরেই ভাসতে থাকেন এসব জেলেরা। এ অবস্থায় তারা গত ২৬ ডিসেম্বর ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশি ২০ জন জেলেদের সংকটাপন্ন অবস্থায় ফিসিং ট্রলারসহ উদ্ধার করে।

ভারতীয় কোস্টগার্ড সংকটাপন্ন এসব জেলেদের চিকিৎসা দিয়ে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে।

কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশি ২০ জেলেকে ১৫ দিন সাগরেই ভাসতে থাকা অবস্থায় ভারতীয় কোস্টগার্ড উদ্ধারে খবরে দ্রুত সাড়া দেয় কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোন সদর দপ্তর।

দুই দেশের দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে রোববার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে বাংলদেশের সমুদ্র সীমার নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘সরোজিনি নাইডু’ থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘স্বাধীন বাংলা’ উদ্ধার ওই ২০ জেলেকে গ্রহণ করেন।

ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছ থেকে গ্রহণ করা এসব জেলেরা হচ্ছেন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. তাছিন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. হানিফ, মো. সোহেল, মো. বেল্লাল, মো. আলাউদ্দিন আহমেদ, আবু বকর, মো. মিরাজ, মো. সালাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. সবুজ, মো. হারুন, মো. জামাল, মো. বসর, মো. মোস্তাফিজ, মো. সোলাইমান, মো. আবু জাহের, মো. রিপন ও মো. দেলোয়ার। তাদের সবার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশান উপজেলায়।

বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এই ২০ জেলেকে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ফিসিং ট্রলারসহ তাদের মহাজন আবুল কাশেমের কাছে মোংলা কোস্টগার্ড হস্তান্তর করেছে।

আরও পড়ুন: 

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে কাউকে সমর্থন করছে না জাপা

news24bd.tv/তৌহিদ