২০১৩ সালে নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন মরিয়ম খাতুন। ১০ বছর বয়সী মেয়ে মিথিলা খাতুনকে নিয়ে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন তিনি। মেয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন মরিয়ম খাতুন। কেননা ভর্তির জন্য পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন।
কিন্তু মিথিলার বাবা সেটা দিচ্ছে না। তাই মেয়েকে নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন নাটোরের জয়িতা নারী মরিয়ম খাতুন। গত সোমবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশন করছেন তিনি।এ ব্যাপারে মরিয়ম খাতুন জানান, অনেক ভেবেচিন্তে তিনি কন্যাসহ স্বজনদের নিয়ে শাহ আলমের (সাবেক স্বামী) জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আনার জন্য শাহ আলমের কর্মস্থলে গিয়েছিলেন।
অনশন চলাকালে মরিয়মের কন্যা মিথিলা খাতুন বলেন, ‘আমি ছোট থাকতেই বাবা আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকেই আমরা মামার বাড়িতে থাকি। বাবা আমার কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। এখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য বাবার আইডি কার্ডের প্রয়োজন। কিন্তু তিনি আমাকে আইডি কার্ড না দিয়ে আমাদের অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। পিতা হিসেবে তার কাছ থেকে আমার শিক্ষা খরচ প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ও স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য তার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য অনশনে বসেছি'।
আরও পড়ুন:
যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালক নিহত, বাসে আগুন
মরিয়মের আত্মীয় ও বাংলাদেশ নারী মুক্তি আন্দোলনের সদস্য রুপালি খাতুন বলেন, শাহ আলম আমার ফুফুকে (মরিয়ম) বিয়ের পর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। এক পর্যায়ের তাকে তালাক দিয়েছেন। বর্তমানে তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে হলে বাবার পরিচয়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু শাহ আলম পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিচ্ছেন না। আমরা তাই শাহ আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
news24bd.tv রিমু