পদ্মা নদীতে আটকা মালবাহী ২০ কার্গো জাহাজ

সংগৃহীত ছবি

নদীতে নাব্যতা সংকট

পদ্মা নদীতে আটকা মালবাহী ২০ কার্গো জাহাজ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি :

পদ্মা নদীতে নাব্যতা ও ডুবোচর থাকায় নৌযান স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। আটকা রয়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ী ও কার্গো মালিকগন।  

সরেজমিন গিয়ে একাধিক মালবাহী কার্গো জাহাজ চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কার্গো জাহাজ লোড নিয়ে গেলে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর উজানে এবং পাবনা মোল্লারচর এলাকার মধ্যে পদ্মা নদীতে রয়েছে নাব্যতা সংকট।

নদীতে রয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। যে কারণে মালবাহী কার্গো জাহাজ নিয়ে গেলে আটকা থাকতে হয়। বিকল্প হিসেবে জাহাজ থেকে কিছু মাল ছোট ছোট বলগেটে আনলোড করে গন্তব্য স্থানে যেতে হয়। এতে যেমন অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয় আবার সময় লাগে ৩/৪ গুন।
এতে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত গুনতে হয় লোকসান।  

মালবাহী কার্গো জাহাজ এমভি শারমিন এর চালক জানান, চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে সিরাজগঞ্জের উদ্দ্যেশে যাচ্ছি। গত দুইদিন যাবৎ দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। কারণ মোল্লার চর নাব্যতা সংকট এবং নদীতে অসংখ্য ডুবোচর থাকার জাহাজগুলো আটকা পরে। মালবাহী জাহাজগুলো চলাচলে ১২ফিট গভীর পানি প্রয়োজন। অনেক জায়গায় ৮/৯ ফিট পানির গভীরতা রয়েছে। নদীতে পানির গভীরতা কম থাকায় জাহাজগুলো মাঝে মধ্যে আটকা পরে। যে কারণে এই জাহাজ থেকে কিছু মাল ছোট ছোট বলগেটে আনলোড করে ৮ফিট বানিয়ে যেতে হবে। কিন্ত পর্যাপ্ত পরিমান শ্রমিক না থাকায় গত দুইদিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।  

এমভি কিংস এর মাস্টার বলেন, মোল্লার চর এলাকায় অনেক ফাঁকা জায়গা। যে কারণে নিরাপদের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে কিছু মাল আনলোড করে যেতে হয়। তিনি বলেন, মাঝ নদীতে জাহাজ থেকে মাল আনলোড করার কারণে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়। সময়ও বেশি লাগে ৩/৪ গুন।  

দৌলতদিয়া শ্রমিকদের সরদার মো. মনিউদ্দিন জানান, নদীতে অনেক জায়গায় ডুবোচর। অনেক জায়গায় পানির গভীরতা কম। এবং অনেক ফাঁকা জায়গা। যে কারণে জাহাজ চালকগন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নিরাপদ ভেবে আশ্রয় নেয়। তিনি আরও বলেন, আমরা লেবার জোগার করে মাল আনলোড করে থাকি।  

বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম জানান, শুকনো মৌসুমে নদীতে পানির গভীরতা কমে যায়। যে কারণে অনেক জায়গায় ডুবোচর দেখা দেয়। এতে জাহাজগুলো আটকা পরে। তবে জাহাজগুলো স্বাভাবিক চলাচল করার জন্য কিছু জায়গায় ড্রেজিং করা হচ্ছে।  

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রতিনিয়ত পুলিশি টহল দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম এবং নারায়নগঞ্জ থেকে যে সকল জাহাজ এই নৌরুটে চলাচল করে তারাও যেন নিরাপদে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়।  
news24bd.tv/আলী