নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় গত ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীর গণধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল রিপোর্টের আলামত মিলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামি সোহেলসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালী ২ নং আমলী আদালতে আজ দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল অফিসার আকেফা জাহানের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নির্যাতিতা নারীর শারীরিক পরীক্ষা শেষ করে।
পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যাহ কাছে জমা দিলে তিনি পুলিশ সুপার নোয়াখালী কার্যালয়ে তা পাঠিয়ে দেন।নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মেডিকেল রিপোর্টের সত্যতা মিলেছে। প্রতিবেদনটি জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যাহর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুপুরে জাতীয় মহিলা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতাল নির্যাতিতাকে দেখতে যান।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, আসামি সোহেল, স্বপন ও বাসুসহ ৩ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, সুবর্ণচরে গণধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ আরও দুইজনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এই মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এ দিকে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে নোয়াখালী সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আজ দুপুরে জেলা শহর মাইজদী টাউনহল মোড়ে এক মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
NEWS24▐ Kamrul