জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও পারলো না টাইগাররা

সংগৃহীত ছবি

জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও পারলো না টাইগাররা

অনলাইন প্রতিবেদক

শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা দুঃস্বপ্নই হয়ে রইলো বাংলাদেশের। বারবার তীরে এসে তরী ডোবার সেই চিরাচরিত অভ্যাস থেকে এবারো বের হতে পারলো না টাইগাররা। শেষ বলে কার্তিকের এক ছক্কায় ৪ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ।

জিততে হলে শেষ বলে ভারতের দরকার ৫ রান।

ছক্কা ছাড়া বিকল্প নেই। দুই দলের সমর্থকদেরই হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।  জয়ের সম্ভাবনার পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকে আছে। কিন্তু না, শেষ বলে দিনেশ কার্তিক ছক্কাই হাকিয়ে দিলেন।
জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হেরে গেল টাইগাররা।

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। কলম্বোর প্রেমাদাসায় রোববার টস হেরে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট তুলে নেন বোলাররা।  

টুর্নামেন্টজুড়ে নিষ্প্রভ ছিলেন সাব্বির রহমান। তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’। শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে সাব্বিরের হয়ে কথা বললো তার ব্যাট। যার ওপর ভর করে ভারতকে ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা।  

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ভারত খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেও শেষ দিকে তা বাংলাদেশের হাতেই চলে আসে। ৩ ওভারে ৩৫ রান দরকার ছিল ভারতের। মোস্তাফিজ এলেন, প্রথম ৪ বলই ডট! পরের বলে ১ রান। শেষ বলে আউট মনিষ পান্ডে। ম্যাচ তো বাংলাদেশের! দুই ওভারে ভারতের দরকার ৩৪ রান। কিন্তু, হলো না। রুবেলের ৩ বলেই পর পর বাউন্ডারি। প্রথম বলে ছক্কা, পরের বলে চার, তৃতীয় বলে আবার ছক্কা! রুবেলের ওভারে এল ২২ রান।  দিনেশ কার্তিকের ‘অতিমানবীয়’ ব্যাটিংয়ে কপাল পোড়ে বাংলাদেশের। মাত্র ৮ বলে ২৯ রানের ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ ইনিংস খেলে টাইগারদের কফিনে এপিটাফ লিখলেন তিনি। তবে শেষ বল পর্যন্ত খেলার জয়-পরাজয়ের হিসাব কষা দুষ্কর হয়ে পড়ে বিশ্লেষকদের কাছে।  এ সময় গ্যালারিতে নেমে আসে পিন-পতন নিরবতা। ভারতীয় সমর্থকদের নাগিন নাচ ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, জয়ের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকে আছে। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান। বাংলাদেশের দরকার ৪-এর নিচে যে কোনো কিছু! জয়ের জন্য ছক্কার বিকল্প নেই। বোলিংয়ে সৌম্য। কিন্তু, না, শেষ বলে ছক্কা হাকিয়েই ভারতীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান দিনেশ।

সম্পর্কিত খবর