আজীবন নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার!

আজীবন নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

উৎসুক ক্রিকেট দুনিয়ার নজর এখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ওপর। যে কোন মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের বড় ধরনের শাস্তির খবর প্রকাশ হতে পারে। স্মিথ এবং ওয়ার্নারের জন্য আশঙ্কাটা একটু বেশিই। খোদ অস্ট্রেলিযান ক্রিকেট এবং ক্রিকইনফোর খবরে এমনটাই জানানো হয়েছে।

কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিং বিতর্কে এই মুহূর্তে টালমাটাল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। ইতোমধ্যে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। স্মিথ এক টেস্ট নিষিদ্ধও হয়েছেন। তবে আরো বড় শাস্তি হতে পারে স্মিথ-ওয়ার্নারের।

সেটা হতে পারে আজীবন নিষেধাজ্ঞা!

বল টেম্পারিংয়ের ডামাডোলের মধ্যেই কাল কেপ টাউন টেস্টে ৫০ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচের তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে স্মিথকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বলেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। কাল চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর কয়েক মিনিট আগে স্মিথ-ওয়ার্নার দায়িত্ব ছাড়েন।

আর দিনের খেলা চলাকালীন সময়ে আইসিসি স্মিথকে এক টেস্টের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ ফির পুরোটাই জরিমানা করে। যিনি বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন, সেই ক্যামেরন ব্যানক্রফট অবশ্য শুধু ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে গেছেন।

সিরিজের চতুর্থ টেস্টে নিষিদ্ধ হওয়ায় কেপ টাউন টেস্ট শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল স্মিথের। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এক বিবৃতিতে সফররত দলের সব সদস্যকে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড কালই বল টেম্পারিংয়ের ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরুর কথা জানান। তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে সিএর নৈতিকতা বিভাগের প্রধান ইয়ান রয় ও টিম পারফরম্যান্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড এর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে গেছেন। তদন্তের অংশ হিসেবেই সব খেলোয়াড়কে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই তদন্ত কর্মকর্তা স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যানক্রফট এবং অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যানের সঙ্গে বসবেন। তারা তদন্ত করে দেখবেন, কতজন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তাদের অভিযুক্ত করবেন। অভিযুক্তদের শুনানি হবে একটি স্বাধীন কমিশনে। সেই কমিশনই দোষীদের শাস্তি দেবে।

সিএর আচররণবিধিতে ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী ও অনৈতিক কোনো কাজের সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করে স্মিথ জানিয়েছিলেন, লাঞ্চের সময়ে ‘লিডারশিপ গ্রুপ’ মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই আলোচনায় মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড ও নাথান লায়ন ছিলেন না বলে জানা গেছে। স্মিথ-ওয়ার্নারের কপালে কী আছে, সেটাই এখন দেখার।

সূত্র: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ইএসপিএন ক্রিকইনফো  •   মিঠু/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর