তবুও পেঁয়াজের দাম চড়া

বেনাপল দিয়ে দেশে ঢুকছে পেয়াজ।

বেনাপোল দিয়ে আমদানি পর্যাপ্ত

তবুও পেঁয়াজের দাম চড়া

যশোর প্রতিনিধি

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে দাম কমছে না। রোজার শুরুতেই পেঁয়াজের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের পেঁয়াজের বাজার অনেকটাই নির্ভরশীল ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর।

সে কারণে রমজানের বাজার ধরতে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এরআগে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। কিন্তু এখন বেশি আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত মাসে ৭২০ ট্রাকের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৭৪২ মেট্ট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

চলতি মাসে এ সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছি।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমদানি পণ্যছাড়সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সহজীকরণের কারণে আমদানি বেড়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

বেনাপোল স্থলবন্দর সহকারী সেড ইনচার্জ (কাচামাল) কামরুল ইসলাম পলাশ জানান, রমজান মাস উপলক্ষে এ বন্দর দিয়ে আগের তুলনায় কয়েক গুণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য ছাড় দিতে।  
বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিক পেঁয়াজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে রমজানে অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে।

যশোরের বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ী, আড়ৎদার ও ক্রেতারা। রোজার শুরুতে দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

তবে আমদানিকারকদের দাবি আমদানিকৃত পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজারে আসলে শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমবে।

রমজানের শুরুতেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বাড়ায় বাজার স্থীতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতাদের।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিপন/তৌহিদ)
 

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর