প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় আজ আংশিক চার্জ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকার বিশেষ-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশান্ত কুমার হালদার মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের সহযোগিতায় কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে। এ বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ থাকায় দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।
এর আগে, গত ১৬ আগস্ট চার্জ গঠনের তারিখ থাকলেও আসামিপক্ষের আবেদনে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে বিচারক চার্জ গঠনের জন্য এদিন ঠিক করেন।
গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে। দুদকের মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস অভিযোগপত্র আমলে নেন। অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানোর কারণে আদালত পি কে হালদার এবং আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। তারা হলেন, পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী ও ঘনিষ্ঠজন পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এ মামলার আরও ৪ আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা হলেন, পি কে হালদারের সহযোগী ও ঘনিষ্ঠজন সুকুমার মৃধা, তার কন্যা অনিন্দিতা মৃধা, শঙ্খ ব্যাপারী ও বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল। এদের মধ্যে সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা বিভিন্ন তারিখে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুদক উপপরিচালক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৫৬ পাতার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
news24bd.tv/রিমু
