বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের নামে নিজেদের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, নানা অযুহাতে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। সেই বিক্ষোভে তারা নিজেদের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল মারছে। তাতে তাদের নেতা-কার্মীরা হতাহত হচ্ছে।
তবে হামলার দায় সরকারের ওপর চাপাচ্ছে বিএনপি। এমন কার্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সব দলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
নির্বাচনী ইস্যুতে ২০১৮ সালে বিএনপি সংলাপ করেছিল, তার ফল হিসেবে তারা ৫টি আসন পেয়েছিল জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে বিদেশি রাষ্ট্রদূরতা অবশ্যই পরামর্শ দিতে পারবেন, তবে তা যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক শালীনতার লঙ্ঘন না হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রেস কাউন্সিলের যে পুরনো আইন রয়েছে সেটার মাধ্যমে শুধুমাত্র তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নাই। এখন নতুন আইন হচ্ছে প্রেস কাউন্সিলের, সেটি হলে সাংবাদিক নামধারী ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়া সাংবাদিক ধরতে কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনটি কয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভায় পাশ হবে। ডাটাবেজের মাধ্যমে প্রেস কাউন্সিল সঠিক সাংবাদিকের তালিকা প্রকাশ করবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশের নির্বাচন, রাজনীতি এবং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন নিয়ে যেসব কথা বলছেন সে প্রসঙ্গে তথ্য মন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকরা নির্বাচন নিয়ে যেকোনো পরামর্শ দিতে পারেন, অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারেন সব দলের সাথে, নির্বাচন নিয়ে সংঘাত এড়ানোর জন্য কোনো কোনো দলের সাথে একান্ত কথাও বলতে পারেন তবে তা যাতে কোনোভাবেই অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা কূটনৈতিক শিষ্টাচার লংঘন না করে।
news24bd.tv/রিমু