‘আত্মহত্যা প্রশমনে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার বিকল্প নেই’ 

সংগৃহীত ছবি

‘আত্মহত্যা প্রশমনে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার বিকল্প নেই’ 

হাসান ওয়ালী

‘সবার মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাই হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার’ প্রতিপাদ্যে আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। যদিও দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা প্রায় শূন্যের কোটায়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও আঁচল ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, করোনা পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আরও ভঙ্গুর হয়েছে। ফলে বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা পৌঁছানোর বিকল্প নেই।  

করোনাকালে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে আত্মহত্যা করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম। তার মতো আত্মহত্যা করতে চাওয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। মানসিক সুস্থতার জন্য যাদের বেশিরভাগ কোথায় যাবেন তাও খুঁজতে পড়েছেন বিড়ম্বনায়।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়েছে, করোনা সংকটে মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার- ওসিডি বা শুচিবাই রোগ বেড়েছে। ওসিডি আক্রান্তদের ১৯ শতাংশের মধ্যে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। সম্প্রতি আঁচল ফাউন্ডেশনের এক জরিপে করোনা-পরবর্তী ১ হাজার ৬৪০ শিক্ষার্থীর ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।  

তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা অপ্রতুল থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।  

পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আহসানুল হাবীব বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এই সেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ নিতে হবে।  

এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানো অনেক বেশি জরুরি বলে জানান মনোশিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্বারোপের বিকল্প নেই। সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতনতা ও চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব সবাইকে।  

news24bd.tv/ইস্রাফিল