গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে ওয়ার্নারকে অধিনায়ক বানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া! 

সংগৃহীত ছবি

গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে ওয়ার্নারকে অধিনায়ক বানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া! 

অনলাইন ডেস্ক

প্রথম পছন্দ যারা, তারা রাজি নয়। বাধ্য হয়ে অন্য কাউকেই ওয়ানডে অধিনায়ক বানাতে হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)। এ জন্য গঠনতন্ত্রে পর্যন্ত আনতে বাধ্য হতে পারে সিএ। এমন খবরই দিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।

দীর্ঘদিন রান খরায় ভোগা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ গেল মাসে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে এই দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করে। তবে শুধুমাত্র টেস্ট নিয়েই ভাবতে চান বলে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন কামিন্স।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় পছন্দ ছিল সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।

তবে ঠিক কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন, তা ভেবেই স্মিথও রাজি হননি। রাজি হননি আরেক পছন্দ মিচেল মার্শও। তবে কথার ছলে এই পদের জন্য আগ্রহ দেখান ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৫ বছর বয়সী এই ওপেনার বেশ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধও। সিএ'ও তাই ওয়ার্নারকেই পরবর্তী ওয়ানডে বানাতে চাচ্ছে।

তবে সমস্যা হলো, এক আইন সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হন ওয়ার্নার। তখন টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এক বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আর আজীবন নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট এটা আইন হিসেবে তাদের গঠনতন্ত্রে যুক্ত করে।

ওয়ার্নারকে নেতৃত্বে ফেরাতে তাই আচরণবিধির সেই ধারা পরিবর্তন করতে হবে সিএকে। আগামীকাল এ ব্যাপার বৈঠকে বসবেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান লাচলান হেন্ডারসনও। তিনি বলেন, ‘ডেভিডের নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগে পর্যালোচনা করা হবে। সবাই দেখবে শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। ’

আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিশ্চিতও করেছেন হেন্ডারসন, ‘আমাদের মনোভাব হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আচরণবিধি পর্যালোচনা করা। দেরি করে আমাদের কারও লাভ নেই। ডেভিডকে ভবিষ্যৎ অধিনায়কের জন্য বিবেচনা করার ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রয়োজনীয়। ’

news24bd.tv/সাব্বির