অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সিত্রাংয়ের প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের উপকূলীয় জেলাসহ ৬ বিভাগে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হতে পারে দেশের নিম্নাঞ্চল।

সেই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ভারী অর্থাৎ ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতিভারী অর্থাৎ ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এদিকে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

রংপুর ও রাজশাহী বাদে দেশের প্রায় বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও হালকা, কোথাও মাঝারি আবার কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।  

ভোর ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়ে খেপুপাড়ায় ৭১ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ৫, ময়মনসিংহে ১, খুলনায় ১৩, বরিশালে ৩৬  মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারীবর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।  

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, আঘাতের সময় সিত্রাংয়ের বাতাসের গতিবেগ ১০০-১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।  

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সাগর আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে তিন নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।  

আরও পড়ুন..

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ধেয়ে আসছে সিত্রাং, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

কোন সতর্ক বার্তার অর্থ কী

১০ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়োবৃষ্টি-বজ্রপাতের শঙ্কা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার ভোরে

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’য়ের অবস্থান দেখুন সরাসরি 

সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ

অবশেষে 'সিত্রাংয়ে' পরিণত গভীর নিম্নচাপটি, ৪ নং সতর্কতা জারি

news24bd.tv/ইস্রাফিল