কার মেডেল গলায় পরেছিলেন আগুয়েরো?

সংগৃহীত ছবি

কার মেডেল গলায় পরেছিলেন আগুয়েরো?

অনলাইন ডেস্ক

হৃদরোগের কারণে অকালেই বুটজোড়া তুলে রাখতে হয়েছে সের্হিও আগুয়েরোকে। নইলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের ‘অফিশিয়াল’ সদস্য হিসেবেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে পারতেন এই স্ট্রাইকার। অফিশিয়াল এই অর্থে বলা যে, খেলোয়াড় না হয়েও লুসাইল স্টেডিয়ামে গত রোববার মেসিদের সঙ্গে বিশ্বকাপ শিরোপা উদযাপন করেছেন তিনি। মেসিকে তো পুরো মাঠ কাঁধে করে ঘুরিয়েছেন আগুয়েরোই।

শুধু বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে নয়, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে ছায়ার মতো মিশে ছিলেন আগুয়েরো। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি দুই দলের খেলোয়াড়দের ঝগড়া থামাতেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। মেসি-ডি মারিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের আবেগ থেকে তিনি আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে ঘুরতেন, ফিরতেন। ফলে আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবলারকে আর্জেন্টিনা দলের ‘নম্বর ২৭’ বলেছিল বেশ কিছু গণমাধ্যম।

তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা জাগে, আগুয়েরোর গলায় চ্যাম্পিয়নের পদক দেখে। কাতারে বিশ্বকাপ উদযাপনের সময় কিংবা ড্রেসিংরুমে আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা যখন উদ্দাম উদযাপনে ব্যস্ত, তখন আগুয়েরোর গলায় দেখা গেছে চ্যাম্পিয়নের পদক। পরেই প্রশ্ন ওঠে, খেলোয়াড় না হয়েও কীভাবে সেই পদক পেলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই কিংবদন্তি।

ফুটবলকে বিদায় বলার পর গত মার্চে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি আগুয়েরোকে দলের সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেন। আগুয়েরো অবশ্য বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। দলের খেলোয়াড়ও নন, কোচিং স্টাফের সদস্যও নন-তবে কীভাবে ওই পদক পেলেন আগুয়েরো? জানা গেছে, আগুয়েরো সেই পদক নিজে পাননি। অন্য কারও পদক পরেই আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করেন তিনি। তবে ঠিক কার মেডেল পরে আগুয়েরো দলের সঙ্গে বিজয় উৎসব করেন, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ফুটবলকে বিদায় বলে দেন আগুয়েরো। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। খেলেছিলেন পাঁচটি ম্যাচও। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর ফুটবলকে বিদায় জানান আর্জেন্টিনার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা এই তারকা।

news24bd.tv/সাব্বির