হিরো আলমের যত সম্পদ ও আয়

সংগৃহীত ছবি

হিরো আলমের যত সম্পদ ও আয়

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।  

বগুড়ায় সংসদীয় আসন দুটিতে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল, ঋণখেলাপিসহ নানা অসঙ্গতি থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের দাখিল করা হফলনামায় দেখা যায়, তিনি ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা, কৃষি জমি থেকে আয় ৬ হাজার টাকা।

সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫৫ লাখ টাকার। একটি প্রাইভেটকার ও দশ ভরি স্বর্ণালংকার আছে তার। ৫১ শতক কৃষি জমি ও ৯ শতক অকৃষি জমির মালিক তিনি। আর নগদ অর্থ রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

তবে হিরো আলম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা দাখিল করেছিলেন তাতে ৫৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রের হিসাব ছিল না। ওই সময়ও একই পরিমাণ বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। উপনির্বাচনে বার্ষিক আয় ব্যবসা খাত থেকে দেখানো হলেও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আয় দেখান অভিনয় খাত থেকে। ওই সময় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার টিভি, ফ্রিজ আসবাবপত্রের কথা উল্লেখ করেছিলেন হলফনামায়। এবারের দাখিল করা হলফনামায় তা উল্লেখ করেননি।

বার্ষিক আয়ের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সামঞ্জস্য নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, এ টাকা ইউটিউব চ্যানেল থেকে পেয়েছি। টাকার উৎসের কথা হলফনামায় লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম।   তিনি আরও বলেন, ইউটিউব চ্যানেল থেকেই তার বার্ষিক আয় প্রায় পনের লাখ টাকা।

নির্বাচনী ব্যয় সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, আমার পোস্টার, মনোনয়নপত্র ফি ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই। আমার ভক্তরাই ব্যয় মেটায়। ভোটাররা আমাকে ভালবেসে ভোট দিবে, টাকার বিনিময়ে নয়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, আপিলের জন্য কাগজপত্র সম্পন্ন করেছি আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় আমরা নির্বাচন কমিশনের আপিল সাবমিট করবো। ইনশাল্লাহ সবাই দোয়া রাখবেন।

news24bd.tv/আলী