কুষ্টিয়ার বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষক খালাস

কুষ্টিয়ার বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষক খালাস

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া:

কুষ্টিয়ার বহুল আলোচিত বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় জড়িত থাকার প্রমান না পাওয়ায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলীকে খালাস দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত। তবে, ভাঙচুরে জড়িত মূল আসামি দুই মাদ্রাসা ছাত্র এখনও কারাগারে আছেন। তাদের বিচার কাজ চলছে।  

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী নিউজ টোয়েন্টিফোরকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যারা খালাস পেয়েছেন তারা কুষ্টিয়ার যুগিয়া এলাকার ইবনি মাসউদ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। তারা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন প্রমাণ পায়নি আদালত। তবে, মূল আসামি ওই মাদ্রাসারই দুই ছাত্র মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ এর ট্রায়াল চলছে।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে বিচারক হিসেবে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবু তাহের বিচার কাজ পরিচালনা করছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় তিনি এই দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। তাদের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালত এ আদেশ দেন।  

vaskojjo

২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর হয়। দুই মাদ্রাসা ছাত্র ভেঙ্গে ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশের ক্ষতি করে। যখন হেফাজতসহ ইসলামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছিল সেই সময় এ ঘটনা ঘটে। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভাস্কর্যের কাছেই ছিল পুলিশের সিসি ক্যামেরা। সেই ফুটেজ এবং আশপাশের অন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া মাদার শাহ পশ্চিম পাড়ার ইবনি মাসউদ কওমি মাদ্রাসার মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন, মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব মো. কামাল উদ্দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেন।  

পরে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

news24bd.tv/কামরুল