সেঞ্চুরি করলো করলা-বেগুন

সংগৃহীত ছবি

সেঞ্চুরি করলো করলা-বেগুন

অনলাইন ডেস্ক

দেশের বাজারগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে কোন না কোন সবজির দাম। কম দামি সবজির মধ্যে আলুই এখন নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ ভরসা। তাও প্রতিকেজি আলু কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪৫ টাকা। এছাড়া বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি মিলছে না।

মৌসুমি সবজি করলা ও বেগুন তিন অংকের ঘর ছুঁয়েছে। প্রতি কেজি করলা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।

রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর  রায়েরবাজার, রাজাবাজার, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত দু-তিনদিনের ব্যবধানে সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে।

এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন, করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া ঝিঙে, ধুন্দল, কাঁকরোল, চিচিংগা ৬০-৭০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি ৩৬০-৪০০ টাকা।

মহাখালী কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী এনামুল বলেন, সবজির দাম মাঝেমধ্যেই ওঠা-নামা করে। তবে এবার বর্ষায় সরবরাহ কম থাকায় সবিজার দাম বাড়তি রয়েছে। গেল দুই দিনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে উস্তা, টমেটো, করলা ও বেগুন ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি করছি। যা গত দুই দিন আগেও গড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজাবাজার এলাকার সুজন খান বলেন, সরবরাহ কম থাকায় কারওয়ান বাজারে সবজি নিয়ে টানাটানি লাগে। রাত ৩-৪টার দিকে না গেলে সবজি মিলে না। সকালে গেলে খোলা বাজার থেকে সবজি কিনতে হয়।

খুচরা ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে একমত নন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকট অজুহাত দিয়ে সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাজার এলে মনে হয় না সবজির সরবরাহ কম রয়েছে। বাজারে সবজি পঁচতে দেখা যায়। তাদের কথা বিশ্বাসযোগ্য্য নয়।

মহাখালীর বাসিন্দা রিকশাচালক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, বাড়িতে চাষাবাদ করে পরিবার সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই দিন কাটছিলো। কিন্তু বর্তমান বাজার অনুযায়ী আয় তেমন না বাড়ায় শহরে এসে রিকশা চালাতে বাধ্য হয়েছি। দেখছি রিকশা চালিয়েও তেমন আয় হয় না। সব মিলিয়ে যে টাকা আয় করি তা দিয়ে এত দামি সবজি কেনা সম্ভব না। টিকে থাকার জন্য কোনমতে, চাল, আলু ও বুটের ডাল কিনে দিন পার করছি।
News24bd.tv/aa