কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক

কথা-কাটাকাটির জেরে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মাঝে নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে কলেজ প্রাঙ্গণে যাওয়ার পর একই বিষয়ে দুই পক্ষের আবার সংঘর্ষ হয়।

এ হামলায় দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পক্ষের আবদুর রহমান, মিঠু, সানবির মাহমুদ ফয়সাল, মো. রাকিব ও বাপ্পী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের রবিন, ইমন, সুহাস ,শাহেদ, আশিক, মাছুম, সাকলাইন ও আনোয়ার আহত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক গণযোগাযোগ বিষয়ক উপসম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির অনুসারী সানভির মাহমুদ ফয়সাল বলেন, শান্তি সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ক্যাম্পাসে এসে দুই পক্ষের মাঝে আবার বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে শাহেদ, আনোয়ার, সাকলাইন, মাছুম, আশিক, আশরাফের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন আমাদের ওপর হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে তারা সংসদে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে।

অন্যদিকে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী রাফি উজ সাকলাইন বলেন, আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাগরের অনুসারীরা উল্টো নিজেরাই নিজেদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। সাগর নিজেই বহিরাগত। ওর নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ থেকে বহিরাগতরা এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার ওপরেও হামলা হয়েছে। সানবির, হৃদয় মিয়া, আব্দুর রহমান, রাকিব, সুমন, পলাশ, মারুফসহ আরও ৩০ থেকে ৪০ বহিরাগত আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ছিলাম মাত্র ৮ থেকে ১০ জন। তারা আমাদের লোকদের মেরে রক্তাক্ত করেছে। সাবেক সহসভাপতি ইমরান হোসেন বাবু লুঙ্গি পরে কোমরে পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসে আমাদের হুমকি দিতে এসেছিল।

হামলার বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার বলেন, ঝামেলার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। সমাবেশের সময় যে ঘটনা ঘটেছে, তা সেখানেই মীমাংসা করা হয়েছে। আবার ক্যাম্পাসে এসে যে বা যারাই সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিল, আমরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তাদের নাম কেন্দ্রে পাঠাবো। ছাত্রলীগের অভিভাবক সাদ্দাম ভাই ও ইনান ভাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।

কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। পরে এসে জানতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে, তারা কখনও ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না। তারা পিঠ বাঁচানোর জন্য ছাত্রলীগ করছে এবং সুযোগ বুঝে সংগঠনের ভেতরে ঝামেলা সৃষ্টি করছে।

তিনি আরও বলেন, যে বা যারাই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tvতৌহিদ