শীতে কাবু লালমনিরহাটের মানুষ

শীতে কাবু লালমনিরহাটের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে ঠান্ডায় লালমনিহাটের জনজীবন বিপর্যয়। ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শিশু বৃদ্ধ ও নিম্নআয়ের মানুষ। তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষেরা ঠান্ডা শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে।

ভোর থেকেই ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা।

মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।

হার কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্নআয়ের মানুষ। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

রোববার  (১০ ডিসেম্বর ) সকালে কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক সেলসিয়াস। এখন থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমতে থাকবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিহাটের বেশ কিছু এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গত দুদিনের কনকনে শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। মহাসড়কগুলোতে দেখা গেছে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে।

অপরদিকে খেটে খাওয়া মানুষ অনেকেই ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষকদের ভুট্টা, আলুর খেতে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জয়নুল আবেদীন বলেন, গত দুইদিনে অতিরিক্ত শীত পড়েছে। এমন অবস্থা ৭ দিন থাকলে মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়বে।

ভ্যানচালক আবেদ আলী বলেন, এই ঠান্ডায় কোনো যাত্রী নাই। পেটের দায়ে ঘর থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, তিস্তা তীরবর্তী  এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। গত দুইদিন থেকে প্রচুর শীত শুরু হয়েছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা কাবু হয়ে পড়ছে। ডিসি মহোদয়ের কাছে দ্রুত শীতবস্ত্রের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক