বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, আটক ২

ট্রেনে আগুন

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, আটক ২

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনাকে ‘স্পষ্ট নাশকতা’ বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।  

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ঘটনাস্থল গোপীবাগে গিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার কারণ এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে এটি যে নাশকতা তা স্পষ্ট; এটি বোঝাই যায়, ইচ্ছে করে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।

’ 

যাত্রীবেশে ট্রেনে আগুন দেওয়া হতে পারে, এমন ধারণার কথাও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। যারা এই কাজ করেছে, তাদের আইনের কাছে যেতে হবে বলেও সতর্ক করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।  

তিনি বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীর প্রতি, সাধারণ মানুষের প্রতি, শিশুর প্রতি এ ধরনের অমানবিকতা, এ ধরনের সহিংসতা এবং আগুনে পুড়িয়ে মারা, এটি কোনো মানুষ গ্রহণ করতে পারে না। অপরাধীদের খুঁজে বের করা হবে এবং আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

কোনো আলামত পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম কাজ হিসেবে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজটি করেছে। জীবন বাঁচানো প্রথম কাজ, সেটি ফায়ার সার্ভিস করেছে। এখন পুলিশের গোয়েন্দারা কাজ করছেন, আলামত সংগ্রহ করছেন, তারপর জানা যাবে। ’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরুর আগের রাতে এই আগুনের ঘটনাটি ঘটল।

এটি নাশকতা হলে কেন প্রতিরোধ কেন করা গেল না—এই প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘দেখুন, প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলেই কিন্তু নাশকতাকারীরা যত ঘটনা ঘটাতে চায় পারে না। আপনি দেখবেন যে গত ১৫ দিনে কতটি পরিকল্পনা নষ্ট করেছি। কতগুলো নাশকতাকে নীরবে প্রতিহত করেছি তার কিন্তু কোনো হিসাব নেই। কিন্তু তারা যেটি ঘটাতে পেরেছে এটা হিসেবে আসছে। ’

ভোট ঠেকাতে বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুক্ত আন্দোলনে থাকা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আগের রাতে (শুক্রবার) রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

গন্তব্যস্থল কমলাপুর পৌঁছনোর কিলোমিটার দুয়েক আগে আগুনের কারনে থেমে যেতে বাধ্য হয় ট্রেনটি। ততক্ষণে আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুড়ে গিয়ে দুই শিশুসহ চারজন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত ও দগ্ধ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন হতাহতদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভোট বর্জন করে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ট্রেনে বেশ কিছু নাশকতার মধ্যে বড় ধরনের দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ড এটি। গত ১৯ ডিসেম্বর নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়ার পর আগুন দেওয়া হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে। তেজগাঁও স্টেশনে থামতে বাধ্য হওয়া সেই ট্রেনেও মা-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকেও নাশকতা বলেছিল পুলিশ।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক