মুন্সীগঞ্জে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ককটেল বিস্ফোরণ গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা ৪টি দোকান ৫টি বসতঘর ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধার ইউনিয়নের সোলারচর ও বকুল তলা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোলারচর গ্রামের বোরহান মাস্টারের ছেলে আহাদুল বেপারী গ্রুপের সোহেল, হাসান, কবির হোসেন বুধা, রনি, মাসুদ, আধারা গ্রামের সেলিম, বধু, সাগর ও মাঝিকান্দি গ্রামের শাকিল,রফিকুলসহ ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশি-বিদেশি অস্ত্রসন্ত্র নিয়ে ইউপি সদস্য মজিবুর মেম্বারের কর্মী-সর্মথকদের বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ ও অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লিপি বেগম (৩৮), জিসান (১৪), রিংকু (২৫), জহির (২৬), রোমান (২২), আরিফ (৩০) আহত হয়। এ সময় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আঞ্জু সরকার (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করে।
এর আগে গত রোববার বকুলতলা স্কুল মাঠে একই গ্রুপ রুহুল আমীন (৩০) নামের এক যুবককে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে আহত করে। এছাড়াও সোমবার সোলার গ্রামের সেরাজল ভূইয়া তার ভাতিজা করিম ভূইয়াকে মারধর করে আহাদুর গ্রুপ।
গুলিবিদ্ধ জহির বলেন, কয়েকদিন পর পরই সন্ত্রাসী আহাদুলের লোকেরা আমাদের গ্রামে হামলা চালিয়ে মারধর আর লুটাপাট চালাচ্ছে। আমরা কি এর থেকে পরিত্রাণ পাবো না। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ করে এতে আমিসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। আমরা এখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাব তার সাহসও পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
news24bd.tv/কেআই