মুম্বাই বন্দরে সন্দেহভাজন পারমাণবিক মালামালসহ পাকিস্তানগামী জাহাজ আটক

ভারতের মুম্বাইয়ের নবসেবা বন্দরে পাকিস্তানের করাচিগামী একটি কার্গো জাহাজ পাওয়া যায় পারমাণবিক সরঞ্জাম। ছবি: সংগৃহীত

মুম্বাই বন্দরে সন্দেহভাজন পারমাণবিক মালামালসহ পাকিস্তানগামী জাহাজ আটক

অনলাইন ডেস্ক

পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম পরিবহন করা হচ্ছে সন্দেহে মুম্বাইয়ের নবসেবা বন্দরে পাকিস্তানগামী একটি জাহাজ আটক করা হয়।

শনিবার (২ মার্চ) ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন মতে, সিএমএ সিজিএম আত্তিলা নামে মাল্টার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজটি চীন থেকে পাকিস্তানের করাচী যাচ্ছিল।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের নবসেবা বন্দরে ভারতীয় শুল্ক কর্মকর্তারা প্রথমে জাহাজটিকে থামায় এরপর জাহাজটিতে তল্লাশি চালানো হয়।

গত ১৭ জানুয়ারি চীন থেকে করাচির উদ্দেশে জাহাজটি রওনা দিয়েছিল।

তল্লাশিতে ইতালীয় এক কোম্পানির তৈরি করা কম্পিউটার নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল (সিএনসি) যন্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাওয়া যায়। সিএনসি যন্ত্রগুলোকে মূলত কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই যন্ত্র সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এবং ধারাবাহিক ও নির্ভুল কাজ করে; যা ম্যানুয়ালি করা সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিএনসি যন্ত্রগুলো ওই জাহাজে পাওয়া গেছে, এ ধরনের যন্ত্র তাদের পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করেছিল উত্তর কোরিয়া।  

সূত্রের খবর, জাহাজ এবং পণ্যের নথি খতিয়ে দেখার পর জানা গেছে, জাহাজটি সাংবাই জেএক্সই গ্লোবাল লজিস্টিক্স নামে একটি সংস্থার। পণ্য পাঠানো হচ্ছিল পাকিস্তান উইংস প্রাইভেট লিমিটেড নামে সিয়ালকোটের একটি সংস্থায়। তবে আরও তদন্ত করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, জাহাজটি তাইউয়ান মাইনিং ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট নামে একটি সংস্থার। পাকিস্তানের কসমস ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি সংস্থায় ওই পণ্য পাঠানো হচ্ছিল।

জানা যায়, এই প্রথম নয়, এর আগেও চীন থেকে পাকিস্তানে পাঠানো সেনাসামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ভারতের জলসীমায়। ঘটনাচক্রে সেই সময় থেকেই কসমস ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাটি নজরে ছিল গোয়েন্দাদের। এ সংস্থাটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পণ্য সরবরাহ করে পাকিস্তানে।

news24bd.tv/DHL