সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

সুরা বাকারা পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সুরা। সবচেয়ে দীর্ঘ এই সুরা অনেক ফজিলতপূর্ণ; তবে এর শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিসে আলাদা করে বর্ণিত হয়েছে। এখানে আয়াত দুটোর কয়েকটি ফজিলত আলোচনা করা হলো—

রহমত লাভের মাধ্যম: জুবাইর ইবনে নুফাইর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা বাকারাকে আল্লাহ তাআলা এমন দুটি আয়াত দিয়ে শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলো শিখবে।

তোমাদের স্ত্রীদেরও শেখাবে। কারণ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায়। (দ্বীন-দুনিয়ার সব) কল্যাণ লাভের দোয়া। ’ (মিশকাত: ২১৭৩)

শয়তান দূরে থাকবে: নুমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান-জমিন সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে একটি কিতাব লিখেছেন।

সেই কিতাব থেকে তিনি দুটি আয়াত নাজিল করেছেন। এই দুটি আয়াতের মাধ্যমেই সুরা বাকারা শেষ করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দুই আয়াত তিলাওয়াত করা হয়, শয়তান সেই ঘরের কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ’ (তিরমিজি: ২৮৮২)

নিরাপত্তা লাভের মাধ্যম: হজরত আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা বাকারার শেষে এমন দুটি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলা তা তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এ আয়াত দুটোই যথেষ্ট। ’ (বুখারি: ৫০০৯) হজরত আলী (রা.) বলেছেন, ‘উপযুক্ত বয়সের এবং জ্ঞান-বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন কোনো মুসলমানদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছে কি না এটা আমার জানা নেই, যে রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি ও সুরা বাকারার শেষ দুটো আয়াত তিলাওয়াত করে না। ’ (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১ / ৭৩৫)

news24bd.tv/aa