মেনোপজের লক্ষণ ও প্রতিকার

মেনোপজের আগে এমন পেট ব্যাথা হঠাৎ হয়।

মেনোপজের লক্ষণ ও প্রতিকার

অনলাইন ডেস্ক

নারীদের মেনস্ট্রুয়েশন বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে। জন্মের সময় মেয়েদের ওভারিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম্বাণু থাকে আর পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর প্রতি মাসে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়। বয়স ৫০ পার হলে ওভারিতে ডিম্বাণু শেষ হয়ে যায়, ফলে মেনস্ট্রুয়েশন বন্ধ হয়ে যায়। আর এটিই হলো মেনোপজ।

মেনোপজের কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে।  
মুড স্যুয়িং: মেনোপজ়ের সময় অনেক মহিলার ঘন-ঘন মুড বদল, অস্থিরতা দেখা দেয়। এই সময়ে অধিকাংশ মহিলা সামান্য কারণেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, উত্তেজনা দেখা দেয়। এই সময়ে অনেকেই একাকিত্বে ভোগেন, হতাশা গ্রাস করে।

অনিদ্রা: মেনোপজ়ের সময় অনেক মহিলার ঘুম ঠিকমতো হয় না। বিছানায় দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকলেও সহজে আসে না। অনেকের আবার কোনও কারণ ছাড়াই বারবার ঘুম ভেঙে যায়।  
গরম অনুভূতি: হঠাৎ করে গরম অনুভূব হচ্ছে, পাখা-এসি চালানোর পরেও রাতে ঘেমে যাচ্ছেন–৪৫ বছরের পর এরকমটা হলে বুঝবেন মেনোপজ়ের সময় আসতে চলেছে। ডাক্তারি ভাষায় এই অবস্থাকে ভ্যাসোমোর উপসর্গ বলে। হঠাৎ করে গরম অনুভূতি, ঘুমনোর সময় ঘেমে যাওয়া, রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া মেনোপজ়ের প্রাথমিক লক্ষণ।
হাড়ের স্বাস্থ্য: মেনোপজ়ের প্রভাব হাড়ের স্বাস্থ্যের উপরেও পড়ে। এই সময় দেহের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে এই সময়ে অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যা পরোক্ষে স্নায়ুর কার্জকর্মের উপরেও প্রভাব ফেলে।
স্নায়বিক দুর্বলতা : ইস্ট্রোজেন হরমোন মস্তিষ্কের বিকাশ ও কাজকর্মের সঙ্গে সংযুক্ত। এই হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব মস্তিষ্ক থেকে স্নায়বিক কাজকর্মের উপর পড়ে।  
প্রতিকারের উপায়
ব্যালেন্সড ডায়েট:  ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার না খেয়ে হৃৎপিণ্ড ও হাড়কে সুরক্ষা দিতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
দুশ্চিন্তা: দুশ্চিন্তা করা যাবে না। মনে রাখতে হবে এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া।  
ব্যায়াম: মেনোপজ কারো ৪৫ এ বা কারও ৫০/৫৫তেও হয়। এটি অনেকটা শারীরিক ফিটনেসের ওপর নির্ভর করে। তাই  নিয়মিত ব্যায়াম করুন। হার্টের অসুখ রোধে ধূমপান ও অ্যালকোহল পান বন্ধ করুন। এ ছাড়া মানসিকভাবে ভালো থাকতে নিজের মতো করে সময় কাটান।  
চিকিৎসা
মেনোপজের কারণে দীর্ঘমেয়াদে নারীদের হাড়ক্ষয় ও হৃদপিণ্ডের ওপর প্রভাব পড়ে। হাড়ের সুরক্ষায় হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। যে হরমোন ডিম্বাশয় থেকে আসে যেমন- ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরোন, সেই হরমোন দিতে হবে। যদি কারো জরায়ু থাকে তাহলে তাদের ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরোন দুটোই দিতে হবে। কারো যদি কোনো কারণে জরায়ু না থাকে তাদের শুধু ইস্ট্রোজেন দিতে হবে। যতদিন তার দরকার হয় ততদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোনাল থেরাপি দিতে হবে।
 news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর