ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে খুদেবার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। উপাচার্যের মানহানির আশঙ্কায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এ বার্তা পাঠানো হয়। ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডায়েরির বিষয়ে তিনি বলেন, বলা হয়, মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা ১১টায় উপাচার্যের মোবাইলে মিথি নামের এক মেয়ে উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছেন। ওই নম্বর থেকে মেয়েটি উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে জোর করেন। উপাচার্য কথা বলতে না চাইলে মেসেজ পাঠান।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগে কম্পিউটার অপারেটর ও কম্পিউটার টাইপিস্ট পদের নিয়োগ পরীক্ষা হবে। নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন ঘুষ প্রস্তাবের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, কেউ ভিসি স্যারকে ফাঁসাতেও এটা করতে পারে বা আসলেই কোনও চাকরিপ্রার্থী এটা করতে পারেন। চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দেখলে বোঝা যাবে এ নামে কেউ আছে কিনা। নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জিডি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সকালে চাকরির বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ফোন দিলে আমি কেটে দিই। তখন একটা মেসেজ পাঠায়—‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলব না। ’ এখন দেখছি সেই মেসেজটা ডিলিট করে দিয়েছে। আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল ছিল। আমি জিডি করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত বিষয়টি খুঁজে বের করতে বলেছি।
