রংপুরের গৃহকর্মী সুমির (১৪) লাশ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কাউনিয়া উপজেলার সরাই ইউনিয়নের কাচু নোয়াখালীপাড়ার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সুমিকে কাউনিয়া উপজেলার সরাই ইউনিয়নের কাচু নোয়াখালীপাড়া এলাকায় নানার বাড়িতে কবর দেওয়া হয়। গৃহকমীয় সুমির মা মমেনা বেগম বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর মঙ্গলবার রাতে মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কাওছার জামান বাবলাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।রংপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত লাশ উত্তোলনের নিদের্শ দিলে শনিবার সুমির লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রেপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত মোক্তারুল ইসলাম, সরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, সুমির জানাজায় ইমাম মাওলানা ফয়েজ আহম্মেদ মামা সুমনসহ এলাকাবাসী। নিহত সুমি নগরীর নব্দীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাওছার জামান বাবলার বোন লাবনী আক্তার তার স্বামীসহ নগরীর মুন্সিপাড়ায় বসবাস করেন। সুমি ওই বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে সুমি আক্তারকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তিন দিন মরদেহ গুম করে রেখে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুমির পরিবারের লোকজনকে ম্যানেজ করেন সোমবার নগরীর মাহিগঞ্জ আলুটারি এলাকায় সুমির মরদেহ দাফন করা হয়।
আর এসব ঘটনায় বাবলার মধ্যস্থতা করার অভিযোগ ওঠায় তাকে সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মানিক/তৌহিদ)