উপবৃত্তির সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো অতীব জরুরি 

সংগৃহীত ছবি

উপবৃত্তির সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো অতীব জরুরি 

অনলাইন ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ানো, মিড ডে মিল সর্বজনীনভাবে চালু করা অতীব জরুরি বলে মত দিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে চুরি-দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলের হলরুমে গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে জিপিইর সহযোগিতায় ‘বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জ: সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ কথা জানান।  

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী।

শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, চুরি ও লুটপাটের মাঝখানে বাজেট ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয় না। আমাদের দেশপ্রেমের অভাব। অনেকেই ভাবেন কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ি বানিয়ে বাকি জীবন অতিবাহিত করবো।

একটি প্রকল্প মানে বিদেশ ভ্রমণ, পাজেরো গাড়ি। প্রকল্প আসে, প্রকল্প যায় কিন্তু সমন্বয় নেই। শিক্ষা বাজেট কীভাবে হবে তা নিয়ে ‍শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করা উচিত। আমার জানামতে শিক্ষকদের সঙ্গে একটিও সভা করা হয়নি।

মতবিনিময় সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও বিবিএসের (২০২৩) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, গত বছর প্রায় ৪১ শতাংশ শিশু-কিশোর-যুবরা শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে ছিল। তবে সরকার ইতোমধ্যে ১০ লাখ ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষায় ‘দ্বিতীয় সুযোগ’ কার্যক্রমের আওতায় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রকল্প উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাধারায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পভিত্তিক স্বল্পমেয়াদি এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা থাকে না বলে এ শিক্ষা প্রায়শ টেকসই হয় না এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীর তেমন কোনো কাজে আসে না। সেই কারণে এটিকে প্রকল্পভিত্তিক না রেখে পিইডিপি-৫ পরিকল্পনায় মুলধারার কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।  

সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নূরজাহান খাতুন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়।  

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ।

মতবিনিময় সভায় সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড়-শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রশ্ন ও সুপারিশ তুলে ধরেন এবং অতিথিরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন।  

সভায় বক্তারা আরও বলেন, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করা, উপবৃত্তির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ানো, মিড ডে মিল সর্বজনীনভাবে চালু করা অতীব জরুরি। এছাড়াও শুধুমাত্র শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটে ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। সেই সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে আরও বেশি বাজার উপযোগী করে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন বক্তারা।

news24bd.tv/DHL