জাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

ছবি সংগৃহীত

জাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় প্রক্টরসহ ১০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।  

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেলকে পূর্ব ঘটনার জের ধরে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে লাঞ্ছিত করায় এই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসেন জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল।

এ সময় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের মধ্যে পূর্ব ঘটনার জের ধরে উচ্চবাক্য বিনিময় হয়।

 

এক পর্যায়ে চঞ্চলের অনুসারীরা রাজীব আহমেদ রাসেলকে লাঞ্ছিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ পথ দিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দেন। প্রাথমিক অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এরপর খবর পেয়ে রাজীব আহমেদ রাসেলের অনুসারীরা একজোট হয়। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে এসএম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের শহীদ সালাম বরকত হলের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র, রামদা, রড, পাইপ এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ হলের সামনে অবস্থান নেয়।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের রাজীব আহমেদ রাসেলের অনুসারীরাও দেশীয় অস্ত্র, রড, রামদা, পাইপ, ইটপাটকেল নিয়ে বটতলায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে আ ফ ম কামালউদ্দিন হল সংলগ্ন বটতলা এলাকায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ৬ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।  

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ব্যর্থ হয়ে তিনিসহ ঘটনাস্থলে ১০ জন আহত হন।  

পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

মারধরের প্রসঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে বেড়াতে এসেছিলাম। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চঞ্চল তার অনুসারীদের নিয়ে এসে আমার সাথে বেয়াদবি ও এক পর্যায়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উনি সবসময় আমার ও আমার অনুসারীদের উপর কর্তৃত্ব খাটানোর চেষ্টা করে। উনি ক্যাম্পাসে বেড়াতে এসেছেন শুনে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল হবে ভেবে তাকে সতর্ক করতে গিয়েছিলাম।  

এ সময় সেখানে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। তার স্ত্রীকে আমার অনুসারীরা মারধর করেনি। এটা একদম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। উল্টো তার অনুসারীরা আমার অনুসারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আশা করছি তারা নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর