নৌকাডুবিতে ১০ মরদেহ উদ্ধার, অভিযান শেষ

কালিয়াকুঠা হাওরে নৌকাডুবির পর উদ্ধার অভিযান

নৌকাডুবিতে ১০ মরদেহ উদ্ধার, অভিযান শেষ

বুরহান উদ্দিন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফি নগর ইউনিয়নের কালিয়াকুঠা হাওরে নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাত আটটায় রফিনগরের ইউনিয়নের মাছিমপুর থেকে নৌকায় করে চরনার চর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে যাচ্ছিল।  

এ সময় কালিয়াকুঠা হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় নৌকাটি।

মৃতেরা হলেন- মাছিমপুরের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া, বদরুল মিয়ার ছেলে আবির মিয়া, নোয়ারচরের আফজাল মিয়ার ছেলে আসাদ, পেরুয়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে শহীদুল মিয়া, মাছিমপুরের জমশেদ আলীর মেয়ে শান্তা, আরজ আলীর মেয়ে তাসলিমা এবং আফজাল মিয়ার ছেলে সোহান মিয়া।

এ ছাড়া মাছিমপুরের আরজ আলীর স্ত্রী রুহিতুনন্নেছা, একই এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী আজিজুন্নেসা এবং পেরুয়ার নজিব উল্লার স্ত্রী করিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পেরুয়া গ্রামে ফিরোজ আলীর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। মূলত সেখানে যাওয়ার জন্য আজ এক দিন আগে রওয়ানা হয় মাছিমপুরে থাকা ফিরোজ আলী স্বজনরা। সেখানেই যাওয়ার পথে কালিয়াকুঠা হাওরে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

নৌকাতে ৩১জন যাত্রী ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত একজন নিখোঁজ ছিল। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে উদ্ধার অভিযান শেষ হলো।

(নিউজ টোয়েন্টেফোর/তৌহিদ)