আবেদনের চার বছর পর পাসপোর্ট পেলেন যশোরের শার্শা উপজেলার শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবক। অসুস্থ বৃদ্ধ বাবার চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে আবেদনের সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রতি মাসে কয়েকবার করে পাসপোর্ট অফিসে ধরনা দিতে গিয়ে তাঁর খরচ হয়েছে মোটা অংকের টাকা।
সঙ্গে হয়রানি তো ছিলই।
তবে এবিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।নিউজ টোয়েন্টিফোরের যশোর প্রতিনিধি রিপন হোসেনের প্রতিবেদনে প্রকাশ, যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি পাসপোর্টের আবেদন করেন শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের শফিকুল ইসলাম। পাসর্পোট ডেলিভারির তারিখ ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট নিতে গেলে সমস্যা আছে বলে ২১ ফেব্রুয়ারি এসে পাসপোর্ট নিতে বলা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক হানিফ ডাকুয়া জানান, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদনের পর মেলে পাসপোর্ট।
ভুক্তভোগী শফিকুল জানান, ভারতে বাবার চিকিৎসার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় ও ভোগান্তির বিনিময়ে হলেও বাবাকে ভারতে চিকিৎসা করাতে পারবেন এজন্য খুশি শফিকুল।
অভিযোগ রয়েছে, যশোর আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিস থেকে পাসর্পোট পেতে প্রতি পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
তবে এবিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ।
যশোর আাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সালাহ উদ্দিন জানান, তার বিষয়টা সমাধান করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
মহাপরিচালকের বরাবর আবেদনে শফিকুল উল্লেখ করেছেন, গত বছরে বাড়ি থেকে পাসপোর্ট অফিসে আসা-যাওয়া বাবদ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)