বুলবুল: কপোতাক্ষের ৭০ স্থানে ভাঙ্গন, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরার ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে। চরম আতঙ্কে দিনকাটাচ্ছে উপকূলের লাখো মানুষ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১০ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা, খোলপেটুয়া, ও কপোতাক্ষ নদের ৭০টি স্থানে ভয়াবাহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

চরম ঝুঁকিতে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্তত ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।

চরম আতঙ্কে দিনকাটাছে উপকূলের লাখো মানুষ। তবে বাঁধগুলো সুপার ডাইক হিসেবে উন্নত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আমাদের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শাকিলা ইসলাম জুই জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, পদ্মাপুকুর ও আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে।

তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে গাবুরা ইউনিয়ন। তবে যেকোনো মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে চুনা, খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদী বেষ্টিত ব-দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে নদ-নদীর পানি উপচে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে ভেসে গেছে ছোট-বড় ৬ হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর। ক্ষতি হয়েছে কয়েক’শ কোটি টাকা। তাই অবিলম্বে বাঁধ মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।

জলবায়ু পরিবর্তিত দুর্যোগ মোকাবেলায় টেকসই ও দীর্ঘ মেয়াদি বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনিয়তা তুলে ধরলেন জেলা প্রশাসক।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর ১০০ বছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেল্টাপ্লান্ট হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুপার ডাইক বাঁধগুলো উন্নতিকরণে ১০ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান জানান, অবিলম্বে বাঁধগুলো মেরামত হলে বুলবুলের মতো দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে শ্যামনগর ও আশাশুনির উপকুলবাসী।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর