পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ
নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায়

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ

পার্বত্যাঞ্চলের বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাঙামটিতে এসংগঠনটির আত্মপ্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতারা।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, মো. মনিরুজ্জামান
মনির, মো. আলমগীর কবির, মো. সোলায়মান, আবুল কাইয়ুম, মো. সাব্বির আহমেদ, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আবু বকর সিদ্দিক মো. শাহ জাহান আলম ও রূপ কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালীরা কিছু নামধারী
সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে।

তাদের কারণে পাহাড়ের মানুষ এখন আর নিরাপদ নয়। তাদের অত্যাচার
নির্যাতন জুলুস পাহাড়বাসিন্দা আর মেনে নেবে না। তাই পার্বত্যাঞ্চলের বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত সকল মানুষের
স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

এ সংগঠনের সকল সম্প্রদায়েে মানুষকে অগ্রধিকার দেওয়া হবে।

কারণ এ সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই সেটা হচ্ছে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রতিহোত করা। চাঁদাবাজী, অস্ত্রবাজি বিরুদ্ধে কথা বলা ও পাহাড়ি-বাঙালীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখা। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত আঞ্চলিক বাঙালী সংগঠনগুলো বিলুপ্ত করে সবাইকে নিয়ে ৪২জন সদস্য নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদটি আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেও এ কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে রাঙামাটি পৌরসবা চত্বর থেকে একটি বিশাল র‌্যালি
বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ডিসেম্বর ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধূরী সম্মেলন ক্ষকে এ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কমিটি প্রথম আত্মপ্রকাশ করা হয়। এরপর গত ৭ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সংগঠনির সদস্যদের নাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় বাঙালী নেতারা তাদের ভিন্ন ভিন্ন নামের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সাথে একাক্ত ঘোষণা করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)